দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কাশ্মীর ইস্যুতে এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মুসলিম দেশগুলোর উপর ক্ষেপেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুসলিম দেশগুলো স্বার্থপর’।
কাশ্মীর ইস্যুতে এবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান মুসলিম দেশগুলোর উপর ক্ষেপেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুসলিম দেশগুলো স্বার্থপর’।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাত সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে। এতেকরে ক্ষেপে গেছেন পাকিস্তান। কাশ্মীর সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ভারতে মুসলিমদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চলছে। অথচ এমন পরিস্থিতিতেই মোদির হাতে আরব আমিরাত সম্মাননা তুলে দিলো। এটি যেনো একেবারেই মেনে নিতে পারছে না ইসলামাবাদ।
এই বিষয়ে পাক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য এবং সম্প্রচার-সংক্রান্ত বিশেষ উপদেষ্টা ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান বলেন, আন্তর্জাতিক মহলে কাশ্মীর ইস্যুকে বিশেষভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করে আসছে পাকিস্তান। তবে দুঃখজনক হলো মুসলিম দেশগুলো স্বার্থপরতার কারণে এই ইস্যুটি একেবারেই এড়িয়ে যাচ্ছে।
কাশ্মীরিদের ওপর অত্যাচারের বিষয়টিকে পুরো বিশ্ব কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেও উল্লেখ করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
সংযুক্ত আরব আমিরাত নরেন্দ্র মোদির হাতে সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘অর্ডার অব জায়েদ’ তুলে দিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখায় গত শনিবার মোদিকে এই বিশেষ সম্মাননাটি দেওয়া হয়।
বর্তমানে বিদেশ সফরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরেই তাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হলো। তার সফরের পূর্বেই এই পুরস্কারের কথা ঘোষণা করেছিল আরব আমিরাত। এদিকে এমন এক পরিস্থির কারণে আরব আমিরাত সফর বাতিল করেছেন পাক সিনেটের সভাপতি সাদিক সাঞ্জারানি।
আমিরাত সরকারের আমন্ত্রণে রবিবার হতে বুধবার পর্যন্ত তিনদিনের সফরের কথা ছিল সাদিক সাঞ্জারানিসহ একটি পাক প্রতিনিধি দলের। সেখানে গিয়ে একাধিক সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও হওয়ার কথা ছিল তাদের। তবে কাশ্মীর নিয়ে ভারতকে সমর্থন করায় আমিরাতে এই সফর বাতিল করা হয় বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারত কাশ্মীরের সায়ত্বশাসন খর্ব করে পূর্বেকার আইন তুলে নেওয়ার পর সেখানে এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সেখানকার মুসলমানরা স্বাভাবিক কাজ কর্ম করতে পারছেন না। তারা ঘরের বাইরে বের হতে পারছেন না। কারণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার কারণে সেখানে কারফিউ বা ১৪৪ ধারা দেওয়ায় জীবন যাত্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে অমুসলিম রাষ্ট্রগুলোও প্রতিবাদ করেছেন। তবে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে এখনও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে ভারতকে সম্মত করানো সম্ভব হয়নি।