দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ের যোগাযোগ মাধ্যমের ক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো ফেসবুক। ফেসবুক মূলত হলো সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি আধুনিক মাধ্যম বা ওয়েবসাইট যা অতীব অল্প সময়ে পৌঁছেছে সফলতার শিখোরে। এলো ফেসবুকের নতুন অ্যাপ।
ফেসবুক মার্ক জুকারবার্গ দ্বারা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সম্প্রতি সময়ে ফেসবুক দ্বারা ছবি শেয়ার করা থেকে শুরু করে ভিডিও কল পর্যন্ত করা যায়। বর্তমান সময়ে যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে বাজারে অগণিত আপ্লিকেশন পাওয়া যাচ্ছে। মানুষ এই সকল আপ্লিকেশন গুলো তাদের প্রিয়জনের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে খুবি সাচ্ছন্দের সাথে ব্যবহার করছে।
মানুষের ব্যবহৃত এই সকল অ্যাপ গুলর মধ্যে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার একটি খুবি জনপ্রিয় আপ্লিকেশন যা ব্যবহারের তালিকায় শীর্ষে। সম্প্রতি জানা যায় ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারের পর আরেকটি নতুন আপ্লিকেশন তৈরি করতে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটি। এই অ্যাপ দ্বারা ব্যবহারকারীরা খুবি সহজেই তাদের বার্তা, তথ্য আদান প্রদান করতে পারবে। থ্রেডস নামক এই নতুন আপ্লিকেশন আমরা যারা বন্ধুদের সাথে বেশি তথ্য শেয়ার করা ও বার্তা আদান প্রদান করতে ভালবাশি তাদের কোথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। দ্য ভার্জ নামক তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইটে এই খবর প্রকাশিত করা হয়।
দ্য ভার্জ ওয়েবসাইট থেকে আরো জানা যায় যে ফেসবুকের এই আপ্লিকেশনটি ইন্সটাগ্রামের সঙ্গী অ্যাপ হিসেবে বাজারে ছাড়া হতে পারে। এই আপ্লিকেশনটি ব্যবহারকারীরা তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সাথে ব্যবহার করতে পারবে। এটি সকলের সাথে ব্যবহার করার লক্ষে তৈরি করা হয়নি বলে জানা যায়।
এই অ্যাপটি খুবি সহজে ব্যবহার করা যাবে। এটিতে বার্তা আদান প্রদান করার পাশাপাশি আমরা খুবি সহজে আমাদের অবস্থান নির্ধারণ করতে পারবো। আমরা আমাদের চলমান সঠিক গতি সম্পর্কে জানতে পারবো এই অ্যাপ্লিকেশন দ্বারা।
এই অ্যাপ আমাদের ফোনের ব্যাটারির চার্জ সম্পর্কেও নোটিফিকেশন দ্বারা আমাদেরকে অবগত করবে যা অন্য কোন যোগাযোগের অ্যাপে পাওয়া যায়না। এছাড়া স্বাভাবিক অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের মত এই অ্যাপ দ্বারাও বিভিন্ন ছবি, পোস্ট, ও নানাবিধ কন্টেন্ট অচিরেই আদান প্রদান ও শেয়ার করা সম্ভব। ২০১৯ সালের শুরুতে ফেসবুক ডাইরেক্ট নামের একটি অ্যাপ্লিকেশন থেকে তাদের সমর্থন ও যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে দেয় যা মূলত স্ন্যাপ চ্যাট এর সাথে সংযুক্ত ছিল। অ্যাপ্লিকেশনটি চিলি, তুরস্ক ইসরায়েল, ইতালি, পর্তুগাল, ও উরুগুয়েতে পরীক্ষা চালানো হয়েছিল ২০১৭ সালে।
চলমান বছরেই মেসেঞ্জার, হোয়াটস অ্যাপ, ইন্সটাগ্রামকে এক সাথে কাজ করার বা একীভূত করার সিধ্যান্তে উপনীত হয় ফেসবুক। যার ফলে ব্যবহার কারীদের আলাদা করে আর অ্যাপ পরিবর্তন করতে হবে না। ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাপ পরিবর্তন ছাড়াই তাদের বন্ধুদের সাথে বিভিন্ন পোস্ট, ছবি, কমেন্ট ও কন্টেন্ট শেয়ার করতে পারবেন সহজেই। এর মানে আমাদের ব্যবহৃত যোগাযোগ মাধ্যমের আলাদা আলাদা অ্যাপ গুলকে একটি প্ল্যাটফর্মে আনার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এমনটি করা হলে আমাদের ফোনের মধ্যে অতিরিক্ত অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা কমানো যাবে। এর ফলে আমাদের ফোনের যায়গা কম খরচ হবে যার ফলে আমাদের ফোনের কার্যকারিতা থাকবে অটুট।