দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সত্যিই এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। কারণ এমবিএ পাস করা ব্যক্তি চাকরি করেই ক্ষান্ত হবেন সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সরকারি চাকরির পাশাপাশি এমন এক দম্পতির খবর পাওয়া গেছে যে দম্পতি চাকরি করে আবার নিজ দোকানেও বসেন!
সত্যিই এমন ঘটনা খুব কমই শোনা যায়। কারণ এমবিএ পাস করা ব্যক্তি চাকরি করেই ক্ষান্ত হবেন সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই সরকারি চাকরির পাশাপাশি এমন এক দম্পতির খবর পাওয়া গেছে যে দম্পতি চাকরি করে আবার নিজ দোকানেও বসেন!
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই এমবিএ (মাস্টার অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) পাস করা, চাকরিও করেন ভালো একটি প্রতিষ্ঠানে। তারপরও প্রতিদিন ভোর ৪টা হতে সকাল ১০টা পর্যন্ত রেলস্টেশনের বাইরে একটি খাবারের দোকানে বসেন, তারপর আবার চলে যান যার যার কর্মস্থলে। তবে তারা কেনো এটি করেন?
গত ২ অক্টোবর দীপালি ভাটিয়া নামে এক ভারতীয় নারী ফেসবুকে এই দম্পতি সম্পর্কে ফেসবুকে জানান যে, কিছুদিন আগে মুম্বাইয়ের কান্দিভালি স্টেশনে খাবারের খোঁজে বেরিয়ে অশ্বিনী শেনয় শাহ এবং তার স্বামীর দোকানটি দেখতে পান। এই দম্পতি পোহা, উপমা, পরাটা, ইডলি জাতীয় খাবার সেই সময় বিক্রি করছিলেন। খাওয়ার সময় দীপালি জানতে চান যে, তারা কেনো দোকানে বসে খাবার বিক্রি করছেন?
ওই দম্পতি জানান যে, বাড়ির বৃদ্ধা গৃহকর্মীকে সাহায্য করতেই এই দোকান খুলেছেন তারা। ৫৫ বছর বয়সী ওই গৃহকর্মীর স্বামী প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় পড়ে আছেন। সে কারণে শেষ বয়সে এসে তাদের যেনো আর্থিক কষ্টে পড়তে না হয়, সে জন্য গৃহকর্মীর তৈরি করা খাবার এনে দোকানে বিক্রি করছেন অশ্বিনী এবং তার স্বামী।
সংবাদ মাধ্যমের খবরে জানা যায় যে, ফেসবুকে শেয়ার করার পরপরই স্ট্যাটাসটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রীর এমন মহান উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন নেট দুনিয়ার মানুষ। কেও কেও তাদের ‘মানবতার সুপারহিরো’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তাদের মন্তব্যে। কেও কেও এটিকে দৃষ্টান্ত হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। আবার কেও এই দম্পতির আগামী দিনগুলোতে শুভ কামনা করেছেন। এভাবে সবাই এই দম্পতিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তাদের এমন শুভ কর্মকাণ্ডের জন্য।