দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মানুষ নানা কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে থাকে। ব্যক্তিত্বের সমস্যা, গুরুতর মানসিক রোগ, এনজাইটি, মাদকাসক্তি, ডিপ্রেশন কিংবা প্ররোচণাসহ আরও অনেক কারণে মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। তবে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫ দেশে নারীর আত্মহত্যার হার বেশি!
সংবাদ মাধ্যমের এক খবরে জানা যায়, বিশ্বের ৫ দেশে পুরুষের চেয়ে নারীরা বেশি আত্মহত্যা করেন বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছেন। এর মধ্যে আবার বাংলাদেশ একটি। বাকিগুলো হলো- মিয়ানমার, চীন, মরক্কো এবং লেসোথা।
এক গবেষণা দেখা যায় যে, বাংলাদেশে প্রতি বছর ১ লাখ অর্থাৎ ৩৯ দশমিক ৬ জন আত্মহত্যা করে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছেলেদের মধ্যে আত্মহত্যার হার বেশি হলেও বাংলাদেশে এই হার নারীদের মধ্যেই বেশি।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন ফর সুইসাইড প্রিভেনশন প্রতি বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্বব্যাপী ‘বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস’ পালন করে থাকে। দিবসটির এই বছরের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘ওয়ার্কিং টুগেদার টু প্রিভেন্ট সুইসাইড’ অর্থাৎ ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একসঙ্গে কাজ করি’।
এ বছরের ১০ সেপ্টেম্বর বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ৷ ২০১৬ সালের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটি।
এই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৬৬৬ নারী আত্মহত্যা করেছেন। এই সময় পুরুষের সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৮৭৮ জন।
অপরদিকে বিশ্বে আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি হলো লাতিন আমেরিকার দেশ গায়ানায়। সেখানে প্রতি ১ লাখে আত্মহত্যা করেছেন অন্তত ৩০ জন ৷ এর পরেই অর্থাৎ দ্বিতীয়তে রয়েছে রাশিয়া। তাদের আত্মহত্যার হার সাড়ে ২৬ শতাংশ ৷
ডব্লিউএইচও বলছে যে, বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৮ লাখ মানুষ আত্মহত্যা করে। সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানোম গেব্রিয়েসুস এই বিষয়ে বলেছেন, এখনও আত্মহত্যা করছেন প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন।
ইতিমধ্যেই ৩৮ দেশ আত্মহত্যা প্রতিরোধ কৌশল গ্রহণ করেছে জানিয়ে ডব্লিউএইচও অন্য দেশগুলোকেও এই পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। কীটনাশক বিক্রি নিয়ন্ত্রণে আনার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ আত্মহত্যার সংখ্যা কমাতে পারে বলেও মনে করছে এই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও ৷
এই বিষয়ে সংস্থাটি বলছে যে, শ্রীলংকায় কীটনাশক নিয়ন্ত্রণে আনার কারণে ১৯৯৫ হতে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আত্মহত্যার হার ৭০ শতাংশ কমে এসেছে। অর্থাৎ প্রায় ৯৩ হাজার প্রাণ বেঁচেছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা।
Bengali 
English