দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক॥ কম অথবা বেশী সবাই তাঁদের নিজ নিজ পেশার প্রতি বিদ্বেষ রাখেন। সম্প্রতি LinkedIn পেশাজীবীদের নিজ পেশার প্রতি এমন বিদ্বেষের কারণ খুজে বের করেছে। সম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে ৭৫% পেশাজীবী তাদের পেশা নিয়ে মনোযোগী বা খুশী নন।
প্রথম কারণঃ লিঙ্কডইন এর প্রতিবেদনে দেখা যায় চাকরিজীবীরা তাঁদের পেশাকে ঘৃণা করার প্রধান কারণ হচ্ছে তার তাদের বন্ধুর চাকরীকে বেশী লোভনীয় মনে করেন। কেন তারা পরশ্রীকাতর হবে না? বর্তমানে কর্মক্ষেত্রে কোম্পানি সমূহ প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা মূলক ভাবে চাকরীর বাজারদর বাড়াচ্ছে। এ কোম্পানিতে বেতন বৃদ্ধি তো অন্য কোম্পানিতে সুযোগ সুবিধা বেশী। ফলে চাকরিজীবীরা সবসময় ভাবতে থাকেন তিনি কি তার বন্ধুর থেকে কম বেতন বা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন?
দ্বিতীয় কারনঃ দ্বিতীয় প্রধান কারণ হচ্ছে কর্মীরা ভাবে তাকে কাজের ক্ষেত্রে কোম্পানি তার সঠিক মূল্য দিচ্ছেনা। কর্মচারীদের কোন কাজে যদি সঠিক মূল্যায়ন না হয় তবে কর্মীদের মাঝে এতে শুধু মানসিক চাপ সৃষ্টি করবে। তারা ঠিক ভাবে কাজে মনোযোগ দিতে পারেনা। ভালো কাজ করে তার মূল্যায়ন করতে হয়। মূল্যায়ন না হলে কেউ ভালো কাজে উৎসাহ পাবে না।
তৃতীয় কারণঃ অনেক চাকরিজীবী ভাবেন তাঁরা তাদের কর্মক্ষেত্রে বন্ধি। তাঁরা তাদের কাজ নিয়ে ভাবেন তাঁকে কোন রকম ছাড় দেয়া হচ্ছেনা। অনেক ক্ষেত্রেই তাঁরা একটু রিলাক্স হতে চান। একটানা দীর্ঘক্ষণ কাজ করার ফলে তাদের মাঝে অনেক সময় ক্লান্তি ভর করে।
চতুর্থ কারণঃ চাকরীর অনিশ্চয়তা কর্মীদের নিশ্চিন্তে কাজে যথেষ্ট বাঁধা সৃষ্টি করে। বর্তমানে অনেক নামি দামী কোম্পানি যেকোনো সময় তাদের কর্মী ছাটাই করছে ফলে এ ক্ষেত্রে কর্মীরা সবসময় দ্বিধাগ্রস্ত থাকে কখন তাদের ছাটাই করে তারা অনেকটা নিজের চাকরীর অনিশ্চয়তার মাঝে থাকেন।
পঞ্চম কারণঃ অনেক কর্মী ভাবেন তাদের ন্যায্য বেতন দেয়া হচ্ছেনা। তাদের যোগ্যতা থেকে কম বেতন দেয়া হচ্ছে। কর্মীরা যদি তাদের যোগ্যতা থেকে কম বেতন পান তবে তারা কোনভাবেই কাজে মনোযোগ দিতে পারেন না। ফলে তারা তাদের কাজকেই একসময় ঘৃণা করতে শুরু করেন। কর্মক্ষেত্রে কর্মীরা চান তাদের জীবনের নিরাপত্তা, উপযুক্ত বেতনভাতাসহ তাদের প্রাপ্য অপরাপর সুবিধাদি কার্যকরভাবে দেয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত হোক।
ষষ্ঠ কারণঃ কোম্পানির নিয়মের অতিরিক্ত কড়াকড়ি একজন কর্মীর কাজের ক্ষেত্রে বিরক্তি সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত নিয়মের বাধ্যবাধকতাও একজন কর্মী তার কর্ম ক্ষেত্রকে ঘৃণা করতে পারে। যেখানে নিয়মের কড়াকড়ি সেখানেই নিয়ম ভাঙ্গার উৎসাহ বেশি থাকে।
সপ্তম কারণঃ বর্তমান কোম্পানি সমূহ এতটাই প্রফেশনাল হয়েগেছে যে কাজের জন্য জীবন নাকি জীবনের জন্য কাজ এই বিষয়টিতে তারা কোন পার্থক্য দেখেনা। বর্তমান বাস্তবতায় অনেক মানুষকে তাদের ইচ্ছের বাইরে গিয়ে নিজের অপছন্দের কাজ করতে হচ্ছে কেবল মাত্র বেঁচে থাকার তাগিতে।
অষ্টম কারণঃ কর্মীরা তাদের কাজকে ঘৃণা করার আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে বসদের অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অযোগ্য ম্যানেজমেন্টের কারণে কর্মীদের মাঝে একটি অসন্তোষ কাজ করে। ম্যানেজমেন্ট তথা বসদের অযোগ্যতার কারণে অনেক কর্মী ভালো বেতন পেলেও কাজ কে উপভোগ করতে পারেন না।