দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আসছে শীত আর এই শীতে জুতা হওয়া চাই টেকসই ও হওয়া চাই সুন্দর। শীত আসলেই জুতার প্রতি আমাদের সকলের একটা আকর্ষণ বৃদ্ধি পায়। উষ্ণতার জন্য আমরা জুতার প্রতি বিশেষ নজর রাখে এবং স্টাইল এর ক্ষেত্রে জুতার গুরুত্ব অপরিসীম।
আপনার পরিধান করা জুতা যদি হয় সুন্দর না হয় তাহলে সঠিক আকর্ষণ প্রদর্শন করা সম্ভব হবে না সে ক্ষেত্রে আমাদের জুতা হওয়া চাই রুচিশীল ও উপযুক্ত। আপনি জানেন কি আপনি যতই সুন্দর সুন্দর পোশাক পরিধান করেন না কেন একজন মানুষকে পরিপূর্ণ ভাবে তৈরি করে তলে তার জুতা। আপনি যতই সুন্দর জামা কাপড় পরিধান করেন না কেন যদি আপনার জুতাটি মানানসই না হয় তাহলে আপনার সকল সাজসজ্জা হবে বৃথা।
শীতে ভালো সাজ আমাদের কাম্য ঠিক এই শীত মৌসুম শুরু হওয়ার আগে থেকেই জুতার খোঁজ নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন অনেকে। আমরা আমাদের কর্মক্ষেত্র ও বাইরের সকল কাজের ক্ষেত্রে আমাদের জুতাকে পরিবর্তন করে থাকি। আমরা আমাদের জুতাকে ২ ভাগে ভাগ করে থাকি ফরমাল ও ক্যাজুয়াল এই দুই নামে ভাগ করি। ফরমাল মূলত আমরা চাকরি ক্ষেত্রে পরিধান করা হয়ে থাকে এবং ক্যাজুয়াল আমাদের বাইরে ঘোরাফেরা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ক্যাজুয়াল জুতা স্বাভাবিকভাবেই একটু বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এছাড়া নানাবিধ কাজেও আমরা আলাদা আলাদা জুতা ব্যবহার করে থাকি। যার মধ্যে এক্সারসাইজ বা জগিং এর ক্ষেত্রে আমরা আলাদা জুতা পরিধান করে থাকি যা আমাদের ব্যায়াম বা জগিংকে আরো আরামদায়ক করে তোলে। আমরা জুতা পরিধানের সময় অবশ্যই স্টাইল এর ব্যাপারটি বিবেচনা করে থাকি তবে সেক্ষেত্রে পাশাপাশি আমাদের আরামের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। যদি জুতা আরামদায়ক না হয় তাহলে দিনশেষে পায়ের নানাবিধ সমস্যায় ভুগতে হতে পারে। জুতা যদি পায়ের সাথে মানানসই বা আরামদায়ক না হয় তাহলে আমাদের পায়ে নানাবিধ রোগ বালাই অথবা পা মচকে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
একেক বয়সের মানুষের একেক ধরনের জুতা হয়ে থাকে এবং সকলের আরামের কথা ভাবা হয়ে থাকে সব ধরনের জুতার তৈরির ক্ষেত্রে এবং জুতা তৈরীর সময় এটি জাতে গ্রাহকের রুচি সম্মত হয় তা মাথায় রেখে তৈরি করা হয় বলে জানিয়েছেন লোটো বাংলাদেশের উপ-ব্যবস্থাপক তন্ময়। তিনি আরো বলেন তরুণদের জুতা হোক আর বয়স্কদের জুতাই হোক না কেন সকলের আরামের লক্ষে লোটো জুতা তৈরি করা হয়ে থাকে। তিনি আরো দাবি করেন লোটো জুতা তৈরিতে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকেন। ঋতুভেদে জুতার পরিবর্তন হয়েছে চোখে পড়ার মতো কারণ বর্ষাকালে যে জুতা পরে চলাফেরা করা যায় তা শীতকালে খুবই বেমানান হতে পারে। শীতের সময় আমরা সকলেই ঘেরা জুতা বা কেডস জুতা পরতে পছন্দ করি যাতে করে আমাদের সম্পূর্ণ পা ঢেকে যায়। পায়ের গরম অনুভূতির জন্য খুবই উপকারী এ ধরণের জুতা। সে ক্ষেত্রে বাটা মেন্স কালেকশন বা আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের প্রধান হায়দার বলেন সারাবিশ্বে বর্তমানে ক্যাজুয়াল জুতার প্রভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে দিনে দিনে।
বাটার অধিকাংশ জুতাতেই ব্যবহার করা হয় আন্তর্জাতিক ভাবে জনপ্রিয় অর্থ লাইট ফ্ম। যা আরামদায়ক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান দ্বারা তৈরি হয়ে থাকে বলে জানায় বাটা কর্তৃপক্ষ। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হওয়ার ফলে বাটা জুতার ভিতর দুর্গন্ধ বা ছত্রাক আক্রমণ করতে পারে না। স্টাইল এর পাশাপাশি জুতা যেন হালকা হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হয় এমনটাই জানান বাটা ও লোটো কর্তৃপক্ষ এবং তারা দাবি করেন হালকা করতে গিয়ে টেকসই ভাবনা যেন না হারিয়ে যায় সেদিকে দৃষ্টি রেখেছেন। অতএব নিজেকে সাজিয়ে তুলুন সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে এবং ব্যবহার করুন আমাদের দেশীয় চমৎকার জুতা সমূহ এবং নিজেকে উপস্থাপন করুন সকলের সামনে অভিনব রূপে।