দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাম্প্রতিক সময়ে ইরান সমর্থিত ইরাকি মিলিশিয়াদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে বিমান হামলা করেছিলো, তারই জের ধরে বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস কম্পাউণ্ডে হামলা করেছে বিক্ষুব্ধ লোকজন।
বিবিসি বাংলার এক খবরে বলা হয়েছে, এই হামলার সময় তারা কম্পাউন্ডের কাছে প্রহরা চৌকিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই হামলায় উস্কানি দেওয়ার জন্য ইরানকেই দায়ী করেছেন।
উল্লেখ্য যে, গত রবিবার ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলে মিলিশিয়াদের লক্ষ্য করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে হামলা চালায়, তাতে অন্তত ২৫ জন যোদ্ধা নিহত হয়।
এই বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা কিরকুকে ইরাকের একটি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলার জবাবও দিয়েছে, যে হামলায় একজন মার্কিন বেসামরিক ঠিকাদার নিহত হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, গতকাল (মঙ্গলবার) তাদেরই শেষকৃত্য হচ্ছিলো বাগদাদে। সেখান থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে হামলার ঘটনাটি ঘটে।
আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ কয়েকজন সিনিয়র মিলিশিয়া এবং প্যারামিলিটারি নেতা হাজার হাজার শোকাহত মানুষের সঙ্গে হেঁটে ইরাকের গ্রিন জোনের দিকে গিয়েছেন। ওই এলাকায়ই ইরাকের অধিকাংশ সরকারি অফিস এবং বিদেশী দূতাবাস অবস্থিত।
খবরে বলা হয়েছে যে, ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও তাদের ওই জোনে প্রবেশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে রাস্তায় সমবেত হওয়ার সুযোগ করে দেয়।
ওই সমাবেশ হতে কাতাইব হেজবুল্লাহ এবং অন্য মিলিশিয়াদের পতাকা বহন করে আমেরিকা বিরোধী শ্লোগান দেওয়া হয়।
বিক্ষোভকারীরা এক পর্যায়ে দূতাবাসের প্রধান গেট লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে এবং এক পর্যায়ে তারা সিকিউরিটি ক্যামেরা ভেঙ্গে ফেলেন।
এই সময় গার্ড চৌকিতে আগুন দেওয়া হয় এবং গুলির শব্দও শোনা গেছে। এক পর্যায়ে কম্পাউন্ডের দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলা হয়। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সৈন্যদের টিয়ার গ্যাস ছোঁড়ার পূর্বে তারা কম্পাউন্ডের বেশ খানিকটা ভেতরে ঢুকে পড়েন।
পরে ঘটনাস্থলে ইরাকি সৈন্য এবং দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী আব্দুল মাহদি বিক্ষোভকারীদের অবিলম্বে দূতাবাস চত্বর ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশও দেন।
তবে আল-সুমাইরা ওয়েবসাইটে বলা হয় যে, কাতাইব হেজবুল্লাহ গোষ্ঠী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস বন্ধ ও দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার না করা পর্যন্ত দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভের ডাক দেয়।
এই বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার টুইটে লিখেছেন যে: “ইরান আমেরিকান ঠিকাদারকে খুন করেছে। বহু মানুষকেও আহত করেছে। আমরা এর শক্ত জবাব দিবো।
“এখন আবার ইরান দূতাবাসে হামলার ঘটনা সংগঠিত করেছে। তাদেরকে সেজন্য জবাবদিহি করতে হবে। একই সঙ্গে আশা করি ইরাক দূতাবাস সুরক্ষায় তার ফোর্স ব্যবহার করবে”।