দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিশ্বব্যাপি মহামারী রূপ নেওয়া করোনা ভাইরাস বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৯৫টি দেশে। প্রাণঘাতি এই ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ মানুষ। কেড়ে নিয়েছে ১৭ হাজার ১৪৬ মানুষের প্রাণ।
এই ভাইরাসটি মহামারিতে রূপ নেওয়ার অন্যতম কারণই হলো- এ পর্যন্ত এর প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়া। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের বিভিন্ন ওষুধ দিয়ে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। কখনও এইচআইভি, কখনও ইবোলা বা ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করছেন চিকিৎসকরা।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রোগীদের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো এমন ৪টি ওষুধ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) হু।
সম্প্রতি তথ্যটি নিশ্চিত করে ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এর মধ্যে দুটি ওষুধ হলো- ককটেল। যার প্রথমটি ইবোলা এবং এইচআইভির প্রতিষেধকের সংমিশ্রমণ। এতে রয়েছে ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির এবং এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভি।
অপরদিকে দ্বিতিয়টি হলো- এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির এবং রিটোনাভির প্লাস ইন্টারফেরন বিটা-এর ককটেল। আর তৃতীয়টি- অ্যান্টিম্যালেরিয়া ড্রাগ ক্লোরোকুইন। চতুর্থটি হলো- ইবোলার ওষুধ রেমডেসিভির।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, এসব ওষুধ আক্রান্তদের ওপর ব্যবহারের পূর্বে ক্লিনিক্যালি ট্রায়ালের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ হলো এর পূর্বে ইবোলা রোগের ওষুধ ব্যবহারে লিভারের বিষাক্ত প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করা গেছে।
প্রাণঘাতিকরোনা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিদিন যোগ দিচ্ছে শত শত বা বলা যায় হাজার মানুষ। এ পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৪ লাখ মানুষ। যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার মানুষের।