দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্তদের সেবা দিতে গিয়ে বিশ্বজুড়ে চিকিৎসক, নার্স ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। দেশটির ২০ হাজার ৪০০ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত।
মার্কিন সংবাদ মাধ্যম এর এক অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা যায়, মঙ্গলবার জার্মানির রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) থেকে ঘোষণা দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়। করোনায় আক্রান্ত এসব স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে ৬১ জন ইতিমধ্যে প্রাণ দিয়েছেন।
তবে আক্রান্ত অনেক বেশি হলেও মৃত্যুরহার তুলনামূলক কম এবং সুস্থ হওয়ার হার অনেক বেশি হওয়ায় বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছে জার্মানি। দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউট জানিয়েছেন যে, আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে আনুমানিক ১৯ হাজার ১০০ জন বর্তমানে সুস্থ।
জার্মান সরকার কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যে জানানো হয়েছে, গোটা জার্মানিতে এ পর্যন্ত যতোজন কোভিড-১৯ আক্রান্ত মানুষ শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১১ শতাংশই হলো স্বাস্থ্যকর্মী। দেশটিতে ১ লাখ ৭৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে আশার খবর হলো জার্মানিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তদের মধ্যে ১ লাখ ৫৫ হাজারের বেশি মানুষ বর্তমানে সুস্থ। তবে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৮ হাজার ১৪৫ জন মারা গেছেন। মৃত্যু এবং আক্রান্তের দিক দিয়ে দেশটির সবচেয়ে বড় রাজ্য বাভারিয়ার অবস্থা এখনও নাজুক। মোট মৃত্যুর ২৯ শতাংশই সেখানকার।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।