দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন কল রেটের উপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হবে। যে কারণে বাজেট পাশ হওয়ার দিন থেকেই মোবাইল ফোনে কথা বলার খরচ বাড়ছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর একটি সূত্র সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে যে, দেশে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও টেলিকম খাতের অবস্থা খুবই ভালো।
মানুষ ফোনে ইন্টারনেটের ব্যবহারের পাশাপাশি কথা বলাও বাড়িয়েছে আগের থেকে। এই মুহূর্তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে এই খাত থেকে সরকারকে বিপুল পরিমাণ শুল্ক সংগ্রহ করতেই হবে। সেজন্যই মোবাইল ফোনের কল রেট বাড়ানো হচ্ছে।
দেশে মোবাইল ফোনের কল রেটে বর্তমানে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। আগামী মাসে সেটি ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার চিন্তা-ভাবনা করছে এনবিআর। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, ভ্যাট বিভাগের সবচেয়ে বেশি শুল্ক-ভ্যাট আদায় করা ৩টি খাতের একটি হলো মোবাইল অপারেটররা।
২০১৯-২০ সালের চলতি বাজেটেও মোবাইল ফোন কল রেট, সিম কার্ড ট্যাক্স, ও এই সংক্রান্ত সেবায় শুল্ক বাড়ানো হয়। যে কারণে গত বছরই বেড়েছিল মোবাইল কল রেট।
২০১৮-২০১৯ সালের বাজেটে মোবাইল ফোন কল রেটের উপর ৫ শতাংশ শুল্ক আরোপিত হয়। ২০১৯-২০ সালের বাজেটে তা বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিলো। এবার আগামী বাজেটে অথার্ৎ ২০২০-২১ সালের বাজেটে এই খাতে ১০ শতাংশ হতে শুল্ক বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে বলে জানা যায়।
বর্তমানে মোবাইল ফোনে কথা বলা ও বার্তা পাঠানোয় খরচ হয় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১ শতাংশ সারচার্জ, ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ইত্যাদি মিলে মোট খরচ পড়ে ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ। যে কারণে ১০০ টাকা মোবাইল ফোনে রিচার্জ করলে সরকার ২২ টাকা কেটে নেন। আগামী বাজেটে খরচটা আরও বাড়ছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।