দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র এবং সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম না ফেরার দেশে চলে গেলেন (ইন্না লিল্লাহি…রাজিউন)।
আজ (শনিবার) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। গত ১ জুন জ্বর-কাশিসহ করোনা ভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। তারপর করোনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ আসে।
পরদিনই ভোর সাড়ে ৫টায় মোহাম্মদ নাসিমের ব্রেন স্ট্রোক হয়। হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়। সফল অস্ত্রোপচার হলেও তার মাথার ভেতরে বেশ কিছু রক্ত জমাট বেধে রয়ে যায়। স্ট্রোকের পর হতে গত ৮ দিন তিনি অচেতন অবস্থায় ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ছিলেন।
এরই মধ্যে পরপর দুইবার করোনা পরীক্ষায় নেগেটিভ রেজাল্ট আসলে তাঁর। উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের পক্ষ হতে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
তবে সঙ্কটাপন্ন অবস্থার কারণে মোহাম্মদ নাসিমকে দেশের বাইরে স্থানান্তরের ঝুঁকি নিতে চাননি তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে বর্ষিয়ান এই নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা শোক জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।