দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা দীর্ঘক্ষণ বসে থাকেন তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি। JAMA অনকোলজিতে প্রকাশিত নতুন এই গবেষণায় এমনই দাবি করা হয়।
ওই গবেষণার এক ফলাফলে দেখা গেছে যে, খুব বেশি সময় ধরে বসে থাকলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের এমডি অ্যান্ডারসন ক্যান্সার সেন্টারের ক্লিনিক্যাল ক্যান্সার প্রতিরোধের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুসান গিলক্রিস্ট এই বিষয়ে বলেছেন, ‘এটি প্রথম সমীক্ষা যা স্পষ্টতই নড়াচড়া ও ক্যান্সারে মৃত্যুর মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করিয়ে দিয়েছে।’
এটি রোধ করা যাবে কীভাবে? সেই প্রশ্নে বলা হয়েছে, প্রতিদিন ৩০ মিনিটের হালকা, মাঝারি কিংবা জোরালো শারীরিক ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে সেই ঝুঁকি কিছুটা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করেন ডা. সুসান।
সুসান গিলক্রিস্ট বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধান আরও শক্তিশালী করে প্রমাণ করে যে, ‘কম সময় বসে থাকা এবং হাঁটাচল করা অত্যন্ত জরুরি।’
একটি অনুদৈর্ঘ্য অধ্যায়ন যা ২০০৯ হতে ২০১৩ সময়কালের জন্য টানা ৭ দিন জেগে থাকার সময় করা হয়। এই সময়ে প্রায় ৮ হাজার জনকে ট্র্যাকিং ডিভাইস কিংবা অ্যাকসিলোমিটার পরতে দেওয়া হয়। তবে দেখা যায় এই গবেষণার শুরুতে কোনো ব্যক্তিরই ক্যান্সার ছিলো না।
অংশগ্রহণকারীরা সবাই রিগার্ডস (REGAREDS) নামে একটি বৃহত্তর, অনুদৈর্ঘ্য অধ্যায়নের অংশ ছিলো যারা স্ট্রোকের ভৌগলিক এবং বর্ণগত পার্থক্যের কারণ অনুসন্ধানে ২০০৩ হতে ২০০৭ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেজন্য ৪৫ বছরের বেশি বয়সী ৩০ হাজারের বেশি আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের এ কাজে বেছে নেওয়া হয়েছিল।
ইউএস ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথ এর অর্থায়নে রিগার্ডস তদন্ত করছে যে, কেনো দক্ষিণী ও কৃষ্ণাঙ্গদের স্ট্রোক এবং ভাস্কুলার রোগ বেশি হয়ে থাকে! এর সঙ্গে চিন্তার বৈকল্য ও স্মৃতিভ্রংশ মিলেই পরিচালিত হয়- যাকে তথাকথিত ‘স্ট্রোক বেল্ট’ বলা হয়।
জানা গেছে, ৫ বছরের ফলো-আপ করার পর গবেষকরা দেখতে পেয়েছেন যে, যেসব লোকেরা পরিশ্রমপূর্ণ কাজ করেন না, তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি যারা নিয়মিত পরিশ্রম করেন তাদের চেয়েও কমপক্ষে ৮২% বেশি ছিলো!
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।