দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আরশোলাও যে এমন অদ্ভুত চেহারা নিতে পারে তা স্বচোক্ষে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। মহাসাগরের বুক থেকে উঠে এসেছে এমন এক দানবীয় বিশালাকার আরশোলা!
ভারত মহাসাগরের একটি অংশে দীর্ঘদিন ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে এমন নতুন প্রজাতির প্রাণিটিকে খুঁজে পান গবেষকরা। ২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভা এলাকায় এই প্রাণিটিকে প্রথম পাওয়া যায়। দেখে প্রথমে মনে হয়েছিল যে, জীবটি মনে হয় মাথায় হেলমেট পরে রয়েছে। যেনো এটি স্টার ওয়ারের চরিত্র ডার্থ ভাদার।
এই মাসে প্রায় দু’বছরের গবেষণার পর সিঙ্গাপুরের গবেষকরা এই প্রাণিটিকে আবিষ্কার করেছেন একটি নতুন প্রাণী হিসেবে। বিজ্ঞানীরা এর নাম দিয়েছেন, ‘বাথিনোমাস রাক্ষস’। এটি একটি বিশালাকার সমুদ্র আরশোলা।
গত ৮ জুলাই গবেষকরা এই নয়া প্রজাতি সম্পর্কে তাদের রিপোর্টও পেশ করেছেন। বায়োডাইভারসিটি রিসার্চ জার্নাল ‘জুকিজ’-এ এটি প্রকাশিত হয়। এই জার্নাল যে কেওই পড়তে পারেন। পেপারের লেখক কোন্নি এম সিদাবালক, হেলেন পি এস উওং ও পিটার কে এল এনজি লিখেছেন যে, ‘ইন্দোনেশিয়ার শব্দ রাক্ষুস ব্যবহার করা হয়েছে এই দানবীয় রূপের জন্য।’ যারা এই নতুন প্রজাতির আরশোলাটিকে দেখেছেন, তারা একে রাতের ভয়ানক স্বপ্নের সঙ্গেও তুলনা করেছেন।
আসলেও কী ভয়ংকর এই সমুদ্র আরশোলা?
বাথিনোমাস রাক্ষসরা এক ধরনের বিশালাকার জীব। বাথিনোমাস প্রজাতির এই জীবের শরীরে প্রায় ২০ ধরনের প্রজাতি বিদ্যমান। কাঁকড়া, লবস্টার ও স্রিম্প জাতীয় প্রাণির সঙ্গে এর মিলও রয়েছে। এগুলি এক ধরনের মাংসাশী পানির পোকা। খুব শীতল স্থানে মহাসাগরের বুকে এগুলির বসবাস। আবার পাওয়া যায় প্রশান্ত, অ্যাটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরে। এই বিশাল সমুদ্র আরশোলার ১৪টি পা রয়েছে। সমুদ্রের গর্ভে এই পা চালিয়েই খাবারের খোঁজ চালায় তারা। আরশোলার মতোই এদের মাথায় রয়েছে হেলমেটের মতো বস্তু, সেখানেই থাকে এদের একাধিক চোখ।
৫০ সেন্টিমিটার (১.৬ ফুট) আকারের এই সমুদ্র আরশোলা সাধারণত সবচেয়ে বেশি বড় হয়ে থাকে ৩৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। অর্থাৎ একটা পায়ের পাতার মাপে। ৫০ সেন্টিমিটারেরগুলো আসলে বিশাল দানবীয়। সেগুলির পরিমাণও কম। পশ্চিম অ্যাটলান্টিক মহাসাগরে ৩৩ সেন্টিমিটারের সমুদ্র আরশোলা অসংখ্য রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
দেখুন ভিডিওটি
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।