মোটরসাইকেলের যত্ন নিতে যা করবেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছোট যান হিসেবে দিনকে দিন মোটর সাইকেলের জনপ্রিয়তা যেনো বাড়ছেই। করোনার ভেতরও বিক্রি বেড়েছে বাহনটির। তবে কিভাবে নেবেন এই যানটির যত্ন? আজ জেনে নিন বিষয়টি।

জ্যাম এড়িয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগের জন্য বেশ কার্যকর একটি যান হলো এই মোটরসাইকেল। তাই ছোট এই যানটির যত্ন চাই নিয়ম মেনে। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক মোটরসাইকেলের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর সহজ কিছু টিপস।

বেসিক লেভেল

বেসিক লেভেলের পরামর্শগুলো মোটরসাইকেল কেনার প্রথম দিন হতেই অনুসরণ করা দরকার। বেসিক লেভেলের টিপসগুলো নিয়ে প্রথম ভাগেই আলোচনা থাকবে এখানে।

ভেজালমুক্ত ফুয়েল ব্যবহার

সবসময় ভালো মানের ফুয়েল ব্যবহার করতে হবে। সেইজন্য ফুয়েল সংগ্রহ করতে হবে স্বনামধন্য ফিলিং স্টেশন হতে। ভালো জ্বালানি সত্যিকার অর্থেই আপনার মোটরসাইকেলের পারফরম্যান্স বাড়াতে সাহায্য করবে।

স্পার্ক প্লাগ

সবসময় পরিষ্কার ও উন্নত মানের স্পার্ক প্লাগ ব্যবহার করতে হবে। একটি নির্দিষ্ট মেয়াদ পর পর ইলেট্রোড গ্যাপ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

এয়ার ফিল্টার

এয়ার ফিল্টার সবসময়ই পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। নিয়মিত বিরতি দিয়ে সেটি পরিষ্কার করুন। অবশ্যই নষ্ট হওয়ার পূর্বেই সেটি বদলে ফেলুন।

ইঞ্জিন ওয়েল

আপনার বাইকের গ্রেড ও রেটিং দেখে সঠিক ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করতে হবে। নির্দিষ্ট মাইলেজের পর নিয়মিত বিরতিতে সেটি বদলিয়ে নিতে হবে।

চেইন ব্যবহার

চেইনে লুবরিক্যান্ট ব্যবহার করুন ও লিউব ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ভালোভাবে চেইনটি পরিষ্কার করে নিতে হবে। চেইনের টাইমিংটিও সমন্বয় করে নিন। চেইনের সঙ্গে এবং চাকার অবস্থানের সেঙ্গ সুইং আর্মগুলো সঠিকভাবে সেট রয়েছে কিনা, সেটি নিয়মিতভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

কার্বুরেটর

কার্বুরেটর বা ফুয়েল ইনজেকটর ও থ্রোটল বডিকে পরিষ্কার রাখতে হবে। যদি প্রয়োজন পড়ে তাহলে ইসিইউ (ঊঈট) ম্যাপিং আপডেটও করাতে পারেন। তবে ডিফল্ট সেটিংসকে সবসময়ই সেরা হিসাবে ধরে নেওয়া হয়ে থাকে।

ব্রেক

ব্রেক মেকানিজমকে সরাসরি কাজ করার সুযোগ করে দিন। ব্রেক ক্লিপারের সমাবেশ ও ড্রাম ব্রেকিং মেকানিজমকে শ্রেণীবিন্যাস করে নিন যাতে করে চাকা ঠিকভাবে ঘুরতে পারে। সেই সঙ্গে ব্রেককে সমন্বিত করে ক্লাচ ক্যাবলকে মুক্ত রাখতে হবে। টায়ারে সবসময় সঠিক মাত্রার এয়ার প্রেসার রাখতে হবে। এটি মোটরসাইকেলের পারফরম্যান্স ও রাইডারের নিরাপত্তার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকে।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়

# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর

অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।