দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার মধ্যে যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত শতাধিক মানুষ নিহত হলেও দমছে না কোনো পক্ষ।
আজারবাইজান সরকার বলেছে যে, আর্মেনিয়ার হামলায় তাদের অন্তত ১২ জন বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছে ৩৫ জন। তারা সামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণও প্রকাশ করেনি।
অপরদিকে, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকল পাশিনিয়ান বলেছেন যে, আজারবাইজানের সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় তাদের সামরিক এবং বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছেন অনেকেই।
কারাবাখ অঞ্চলের কর্তৃপক্ষ বলেছে, সেখানে ৮৪ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। কারাবাখ অঞ্চলের অবস্থান আজারবাইজানের ভেতরে হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করছে আর্মেনিয়ার সমর্থনপুষ্টরাই।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও দুই দেশই আলোচনায় বসার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছে। আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, তারা আর্মেনিয়ার সঙ্গে কোনো আলোচনাতে বসবেন না।
একই ধরণের কথা বলেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ানও। তিনি বলেছেন যে, সংঘর্ষ এবং উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় আজারবাইজানের সঙ্গে কোনো রকম আলোচনার সম্ভাবনা নেই।
নগরনো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রবিবার সকাল থেকে দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া উভয়ই ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতিবেশী রাষ্ট্র।
নতুন করে সীমান্ত সংঘাত শুরু হওয়ার পরই ওই দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেই জরুরি ভিত্তিতে টেলিফোনে কথা বলেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ। তিনি আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজনকে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠা করে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় দু’দেশকেই আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ এর দশকের শেষদিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া এবঙ আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে ওই সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দু’পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এই সংঘর্ষে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।