দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রভাবশালী ইংরেজী দৈনিক কাশ্মীর টাইমসের অফিস বন্ধ করে দিলো ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের স্থানীয় প্রশাসন।
কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরের মিডিয়া পাড়ায় কাশ্মীর টাইমসের অফিস অবস্থিত। ১৯ অক্টোবর স্থানীয় এস্টেট ডিপার্টিমেন্ট গণমাধ্যমের অফিসটি বন্ধ করে দিয়েচে। তবে কাশ্মীর টাইমস বন্ধের কোনো কারণ উল্লেখ করেনি কর্তৃপক্ষ।
কাশ্মীর উপত্যকার অন্যতম পুরাতন একটি গণমাধ্যম হলো এই কাশ্মীর টাইমস। এই পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয় জম্মুতে। জম্মু ও কাশ্মীর, দুটি জায়গা থেকেই পত্রিকাটি ছাপানো হতো।
এই বিষয়ে কাশ্মীর টাইমসের মালিক ও নির্বাহী সম্পাদক অনুরাধা ভাসিন বলেছেন, অফিস সিলগালা করার বিষয়ে নিয়মতান্ত্রিক কোনো পদ্ধতিই অনুসরণ করা হয়নি। আগে কোনো নোটিশও দেওয়া হয়নি। এস্টেট বিভাগের কর্মকর্তারা এসে সংবাদ কর্মীদের বের করে দিয়ে অফিস বন্ধ করে দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পত্রিকাটিকে ১৯৯০ দশকের প্রথম দিকে ওই জায়গাটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। অনুরাধা ভাসিন অভিযোগ করেছেন যে, এ মাসের শুরুর দিকে জম্মুতে তার সরকারি বাসভবন থেকেও তাকে উচ্ছেদ করা হয়। তিনি বলেন, তার অফিস বন্ধ করে দেওয়াটা একটা কূট রাজনীতিরই অংশ। ভারতীয় প্রশাসন তাকে ‘দমন’ করার জন্যই এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
অনুরাধা ভাসিন জানিয়েছেন, গত বছর তিনি যোগাযোগ অবরোধের বিরুদ্ধে আদালতে যান। যেদিন আদালতে যান, তার পরের দিন থেকেই কাশ্মীর টাইমসের সরকারি বিজ্ঞাপন বন্ধ হয়ে যায়।
গত বছর (২০১৯) আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে কাশ্মীরের স্বায়ত্ত শাসন এবং সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়। ভারতের একমাত্র মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এই রাজ্যটিকে দুটি ফেডারেল অংশে বিভক্ত করে কেন্দ্রীয় শাসনের অধিভুক্ত করা হয়। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ দমনের অংশ হিসেবেই ভারত সরকার কাশ্মীরে মাসব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়। এছাড়াও কাশ্মীরের প্রধান প্রধান আঞ্চলিক নেতাদেরও সেই সময় গৃহবন্দি করা হয়।
অনুরাধা ভাসিন বলেন, আমরা যোগাযোগ ব্যবস্থা, ইন্টারনেট এবং মোবাইল ও ল্যান্ড ফোন বন্ধ করার বিরুদ্ধে সেই সময় অবস্থান নিয়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে লেখালেখিও করেছিলাম এবং আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। সেই রোষ থেকেই আমাদের ওপর প্রশাসনের এমন দমনমূলক পদক্ষেপ শুরু হয়।
তবে অনুরাধা ভাসিনের অভিযোগের বিরুদ্ধাচরণ করে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, এটি মোটেও দমনমূলক ব্যবস্থা নয়। এটি একটি নিয়মতান্ত্রিক কাজ। আমরা ভাসিনের পিতা বেদ ভাসিনকে দেওয়া সরকারি ওই ভবনটি সরকারি দখলে নিয়েছি। পত্রিকা অফিস আমরা বন্ধ করিনি।
কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা ভাসিনের বাবা এই পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক বেদ ভাসিন ২০১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন। তারপর থেকে অনুরাধা ভাসিন এই পত্রিকাটি চালাচ্ছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।