দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আগামী বছরের শুরুতেই অবৈধ এবং নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে প্রযুক্তি বাস্তবায়ন শুরু করতে চলেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি। যে কারণে আগামী বছরের শুরুতেই বন্ধ হতে চলেছে দেশের সকল অবৈধ হ্যান্ডসেট।
নতুন এই প্রযুক্তিটি কার্যকর করা হলে গ্রাহকের হাতে থাকা অবৈধ হ্যান্ডসেটে কোনো অপারেটরের সিমই চলবে না। ২০১২ সালে উদ্যোগ নেওয়ার প্রায় ৮ বছর পর এই নতুন প্রযুক্তি বাস্তবায়ন করতে চলেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা- বিটিআরসি।
এই বিষয়ে বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘সরকার পূর্বেই এমন বার্তা দিয়েছিল। চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে এটি চালুর কথাও ছিলো। তবে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে দেরি করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সফটওয়ার উন্নয়নের দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী বছরের শুরুর দিকে এটি বাস্তবায়িত হবে আশা করি।’
ইতিপূর্বে গত বছরের জুলাইয়ে টেলিকম ওয়াচডাগ এই সংক্রান্ত একটি পাবলিক নোটিশও জারি করেছিল। তখন গ্রাহকদের মোবাইল ডিভাইসের আইএমইআই নম্বর বিটিআরসির সঙ্গে নিবন্ধিত কিনা তা পরীক্ষা করতে বলা হয়েছিলো।
বিটিআরসির মতে, গত তিন বছরে ফোন আমদানিকারক, অপারেটর ও বাংলাদেশী মোবাইল নির্মাতাদের তথ্য নিয়ে ১১৮.২২ মিলিয়ন আইএমইআই নম্বর একটি ডাটাবেজে যুক্তও করা হয়।
নিয়ন্ত্রক সংস্থার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, কোনো আইএমইআই যদি অনিবন্ধিত থাকে, তাহলে বুঝতে হবে সেটি নকল এবং তা অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছে। যে কেও *#০৬#-এ ডায়াল করেই মোবাইলের পর্দায় তার হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বর খুঁজে পেতে পারেন।
সেটি নিবন্ধিত কিনা জানতে হলে মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে KYD লিখে স্পেস দিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি লিখে ১৬০০২ নম্বরে মেসেজ সেন্ট করতে হবে। তখন ফিরতি এসএম এসের মাধ্যমে সেই সেটটি নিবন্ধিত কি না সেটি জানা যাবে।
তবে দেশে অবৈধভাবে আমদানীকৃত সেটের ক্ষেত্রে এটি হলেও যে সব গ্রাহকরা বিদেশ হতে তাদের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে উপহার হিসেবে পাওয়া সেটগুলো কিভাবে নিবন্ধিত করা যায় সেই বিষয়ে নিয়ন্ত্রণক সংস্থা বিটিআরসি অবশ্য কিছুই জানাইনি। কিংবা নিয়ম করার আগে অর্থাৎ পুরোনো সেটগুলোও যাতে বর্তমানে নিবন্ধিত করা যায় সেই বিষয়টিও মাথায় আনার জন্য গ্রাহকরা দাবি জানিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।