দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার বিজ্ঞানীরা এমন নতুন এক অণুর সন্ধান পেয়েছেন, যার সাহায্যে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া নিঃশ্বাসের মাধ্যমে বিদ্যুৎ নির্গত করে থাকে।
গবেষকরা আবিষ্কার করেছেন যে, এই ব্যাকটেরিয়া বিশেষ প্রোটিনে তৈরি নলের মাধ্যমে নিঃশ্বাস ছেড়ে থাকে। কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া নিঃশ্বাসের সঙ্গে মানুষের মতো কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত করে না, এরা মূলত নির্গত করে ইলেকট্রন; যা ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করতে সক্ষম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের গবেষণায় এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তাদের এই গবেষণা নিবন্ধটি নেচার কেমিক্যাল বায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
মুখ ও ফুসফুসবিহীন ব্যাকটেরিয়ার জন্য শ্বাস নেওয়া বেশ জটিল। আমরা সাধারণত অক্সিজেন গ্রহণ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড নি:সরণ করে থাকি। তবে জিওব্যাক্টর, ভূগর্ভস্থ পানিতে বসবাসকারী ব্যাকটেরিয়ার একটি শ্রেণী, যারা জৈব বর্জ্যের ওপর নির্ভরশীল, এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া ইলেকট্রন নির্গত করে থাকে। এদের থেকে নিঃসরণ হওয়া ইলেকট্রন একটি ক্ষুদ্র বৈদ্যুতিক প্রবাহ তৈরি করে থাকে। যা দিয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইলেকট্রনিকস যন্ত্র চালানো সম্ভব বলে ওই গবেষণায় উঠে এসেছে।
এই বিষয়ে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক নিখিল মালভঙ্কর বলেন, জিওব্যাক্টর শ্বাসনালির মাধ্যমে সাধারণত তাদের আকারের তুলনায় বেশ কয়েকশ গুণ বেশি নিঃশ্বাস নিয়ে থাকে। মূলত যে শ্বাসনালিকে বলা হচ্ছে ন্যানোওয়্যার। যদিও ক্ষুদ্র এই তন্তু মানুষের চুলের প্রস্থের চেয়ে এক লাখ গুণ ক্ষুদ্রতর ও সেগুলো একটি ব্যাকটেরিয়ার দেহে কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার গুণ ইলেকট্রন শাটল তৈরি করতে পারে।
অধ্যাপক নিখিল আরও জানিয়েছেন, কীভাবে এই বিদ্যুৎ মাক্রোবিয়াল পাওয়ার গ্রিডে যুক্ত করা যাবে- তিনি ও তার সহকর্মীরা তা নিয়ে আবিষ্কার করেছেন। তারা উন্নত মাইক্রোস্কপি কৌশল ব্যবহার করে ‘গুপ্ত অণু’ আবিষ্কারও করেছেন, যা ব্যাকটেরিয়াকে ইলেকট্রন নির্গত করতে সাহায্য করে থাকে। এই ধরনের অণুর সন্ধানের পূর্বে ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পাওয়া যায়নি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।