দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কোনো সময় হৃদরোগ হতে পারে। বয়স বেশি হলে তখন এই আশঙ্কাই বাসা বাধে মানুষের মনে। বুকে হালকা চিন চিন ভাব ও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা দেখা দিলেই তখন মনে নানা প্রশ্ন জাগে।
ঠিক কোন লক্ষণ হার্ট অ্যাটাকের সংকেত বহন করে তা আমরা কিন্তু অনেকেই জানি না। হার্ট অ্যাটাক পূর্বে কেবলমাত্র বয়স্কদের ক্ষেত্রেই দেখা যেতো। তবে যতো দিন গড়াচ্ছে, অল্প বয়সীদের মধ্যেও বেড়ে যাচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা। মনে রাখতে হবে, জাঙ্কফুড, কাজের নির্দিষ্ট সময় না থাকা এবং ওয়ার্ক ফর্ম হোম হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম একটি কারণ।
তবে দেখা গেছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের হার্ট অ্যাটাক কম হয়। তবে মহিলাদের মেনোপজের পর হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। তাই মেনোপজের পর মহিলাদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণসমূহ সম্পর্কে জেনে নিন:
# বুকের মাঝ থেকে ব্যাথা শুরু হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। এমন অবস্থা সৃষ্টি হলে বুঝবেন হার্ট অ্যাটাকের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। দেরি না করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।
# আপনি আগে যে কাজ অবলীলায় করতেন, তা করতে আপনার ভীষণ হাঁপ ধরে যাচ্ছে। আপনার হার্ট যে দুর্বল হয়ে পড়েছে এটি তার অন্যতম একটি লক্ষণ।
# অনিয়মিত হার্টবিট হলে নিজেই ভালোভাবেই বুঝতে পারবেন। মাঝে-মধ্যে বাড়বে বা কমবে। তেমন ভয়ানক না হলেও ভয়ের কারণও রয়েছে। এমন অবস্থা হলে চিকিত্সা নেওয়া জরুরি।
# হাত-পা, গোড়ালি ফুলে যাওয়া এটাও একটা সংকেত যে, আপনার হার্ট ঠিকভাবে রক্ত পাম্প করতে পারছে না। দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
# হঠাৎ করেই বুকে ব্যথা হলে সেটি হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। যাকে চিকিৎসা ভাষায় বলা হয়ে থাকে মাওকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশান। এই সময় শিরার মধ্যে রক্তের গতি প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে গতিও কমে যায়, তবে একেবারে বন্ধ হয় না। অনেক সময় দৌড় ঝাঁপ করার সময় শিরা ধমনী দিয়ে যতোটা রক্ত যাতায়াত করে ততোটা জোরে মোটেও হার্ট পাম্প করতে পারে না। তখন ব্যাথা অনুভব হয়। এরকম মানুষদের হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা থেকেই যায়।
তথ্যসূত্র : জি নিউজ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।