দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুগলের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুগল ট্রানজিট ফিচারটি প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকাতে চলাচলকারী বাস ও বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রেনের জন্য প্রযোজ্য হবে।
রাজধানী ঢাকাতে চলাচলকারী বাস ও ট্রেনের রুট, সময় এবং বিস্তারিত আপডেট করছে গুগল ম্যাপস। এখন গুগল ট্রানজিট নামের ফিচারটিতে গণপরিবহনসংক্রান্ত তথ্যও পাওয়া যাবে। এই ফিচারটি যথেষ্ট পুরাতন হলেও বাংলাদেশে এতোদিন কার্যকর ছিল না।
গুগলের তথ্য মতে, ফিচারটির মাধ্যমে গুগল ম্যাপস রুট, স্টপেজ এবং ভ্রমণের আনুমানিক সময়ও দেখাবে। এতে ভ্রমণের পরিকল্পনা ঠিক করে নেওয়া খুব সহজতর হবে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কেও যদি গুলশান ১ হতে সদরঘাটে যেতে চান, তাহলে তাকে ওই দুটি জায়গা টাইপ করতে হবে। তারপর ডিরেকশন অন করে দিলেই তখন গুগল ম্যাপ যানবাহনের ধরন দেখাবে। সেখান থেকে ট্রানজিট অপশনটি সিলেক্ট করে দিলেই তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তিকে কাছের বাস স্টপেজে যাওয়ার পথ, কোন বাসে তাকে উঠতে হবে, কোন পথে তাকে যেতে হবে এবং কোন স্টপেজে তাকে নামতে হবে, তা গুগল জানিয়ে দেবে। এ ছাড়াও গন্তব্যের আনুমানিক দূরত্ব ও ভাড়াসংক্রান্ত সকল তথ্যও জানিয়ে দেবে।
গুগল এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, গুগল ট্রানজিট ফিচারটি প্রাথমিকভাবে রাজধানী ঢাকাতে চলাচলকারী বাস এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত ট্রেনের জন্যই প্রযোজ্য হবে।
গণপরিবহনে চলাচলকারী ব্যক্তিরা, যাদের জায়গা এবং রাস্তা সম্পর্কে কোনোই ধারণা নেই, তারাও গুগল ট্রানজিটের মাধ্যমে যাত্রার আনুমানিক সময় জেনে নিতে পারবেন।
গুগল ট্রানজিটের গণপরিবহনসংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে যেভাবে:
# আপনাকে প্রথমেই অ্যান্ড্রয়েড বা আইওএস ডিভাইসে গুগল ম্যাপস খুলতে হবে।
# আপনাকে গন্তব্য ঠিক করতে হবে ও ‘ডিরেকশনস’ আইকন ট্যাপ করতে হবে বা ‘গো’ আইকন আপনাকে ট্যাপ করতে হবে। ‘সোর্স’ এবং ‘ডেস্টিনেশন’ জায়গা আপনাকে ঠিক করতে হবে।
# পথ ও গন্তব্য সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে আপনাকে ‘ট্রানজিট’ আইকন ট্যাপ করতে হবে।
# রুটের স্টপেজ সংক্রান্ত তথ্য জানতে রেকমেন্ডেড রুট আপনাকে ট্যাপ করতে হবে।
# বাস কিংবা ট্রেনের সময়সূচি এবং গন্তব্যের তালিকা জানতে সাজেশনে দেখানো যে কোনো বাস কিংবা ট্রেন আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।