দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যায়ামের সব পদ্ধতির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো হাঁটা। সারাদিনই কাজের জন্য আমাদের হাঁটতে হয়। তবে আজ রয়েছে খাওয়ার পর হাঁটবেন কেনো সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা।
এই হাঁটার কিছু নির্দিষ্ট সময় রয়েছে, যা কেবল সেই সময় করলেই আপনিও হতে পারেন সু-স্বাস্থ্যর অধিকারী। সেরকমই একটি নির্দিষ্ট সময় হলো খাবার খাওয়ার পর। খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করলে আপনি পাবেন বেশ কয়েকটি উপকার।
শারীরিক ক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়
আমাদের মধ্যে অনেকেই ভাবেন যে, খাবারের পর হাঁটাহাঁটি করা স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর। তবে খাওয়ার পর অল্প পরিমান হাঁটা আপনার শরীরের বিপাকীয় ক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। এটি আপনার শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝড়াতেও সাহায্য করে। এতে করে শরীরের বাড়তি ক্যালরি পুড়িয়ে ফেলে।
হজমে সাহায্য করবে
খাবার খাওয়ার পর অনেক সময় তা ঠিকঠাক হজম হয় না! এমন সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। এর জন্য তাই নিজের সঙ্গে অনেকেই এ্যান্টাসিড জাতীয় ঔষধ রাখেন। তবে এই হজম হলো শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যার মাধ্যমে খাদ্য আপনার শরীরে বিভিন্ন ক্রিয়া বিক্রিয়া করে থাকে। তাই খাবারের পর আপনার শরীরে যদি ভারি ভারি ভাব অনুভূত হয় তাহরে আপনার উচিৎ না ঘুমিয়ে হাঁটার চেষ্টা করা। যা আপনার খাবার হজম করবে ও বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া করার মতো অসস্তি হতে মুক্তি দেবে।
ভালো ঘুম হওয়া
সারারাত ঘুম না হওয়ার সমস্যা আমাদের মধ্যে কম বেশি অনেকেরই রয়েছে। সে জন্য অনেকেই ওষুধও খেয়ে থাকেন। সারা দিনের স্ট্রেস ও দুশ্চিন্তা আপনার ঘুম নষ্ট করে দিতে যথেষ্ট। এই ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঝামেলা ও কর্মক্ষেত্রের কাজের চাপ আমাদের নিশ্চিন্তে ঘুমাতেও দেয় না। তবে এর সমাধানও রয়েছে। আপনি যদি রাতের খাবারের পর কিছুক্ষণ হাঁটেন তাহলে এটি আপনার রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা মানসিক চাপ কমায় ও আপনার ঘুম আগের চেয়ে আরও অনেকাংশে বেশি হয়।
ওজন কমাতে
ওজন কমাতেও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে হাঁটা। আমাদের সারাদিনের কাজের চাপে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার তেমন সময় আমাদের হয় না। তবে এই হাঁটাহাঁটি করেই আপনি বাড়তি ওজন খুব সহজেই কমাতেও পারেন। বাড়তি ক্যালরি ক্ষয় করে হাঁটাহাঁটি আপনাকে সুস্থ দেহ, সুন্দর মন অর্জনেও সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রক্তে শর্করার পরিমাণ
খাবারের পর আধা ঘণ্টা হাঁটলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যারা ডায়াবেটিকজনিত রোগে ভুগছেন, তাদের অবশ্যই বেশি করে হাঁটা উচিৎ। যাদের ডায়াবেটিকস নেই, তারা হাঁটাহাঁটির মাধ্যমে ফিট রাখতে পারবেন নিজে। সেই সঙ্গে হবেন সুস্বাস্থ্যর অধিকারী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।