দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাইকেল চালানোর অভ্যাস আমাদের দিনকে দিন যেনো কমে আসছে। যন্ত্রচালিত যানবাহনের উপর আমরা বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। অথচ এই সাইকেল ক্যান্সারের অর্ধেক ঝুঁকি কমাতে পারে!
গাড়ি-ঘোড়ায় চড়ে যারা মানুষ অফিস করে থাকেন, তাদের স্বাস্থ্যের ওপর এর প্রভাব নিয়ে ব্রিটেনে এক গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে যে, সাইকেল চালিয়ে কাজে গেলে ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি অর্ধেক কমে যেতে পারে।
গত ৫ বছর ধরে ২ লাখ ৫০ হাজার অফিস যাত্রীর ওপর এই গবেষণা করা হয়। দেখা গেছে যে, দুই চাকার ওপর নির্ভরশীলরা অন্যদের চেয়ে প্রাণঘাতি কতগুলো রোগের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।
গবেষণার ওই ৫ বছরে অংশ নেওয়া অফিস যাত্রীদের মধ্যে ২৪৩০ জন মারা গেছেন, ৩৭৪৮ জনের ক্যান্সার ও ১১১০ জনের হৃদরোগ ধরা পড়েছে। তবে যারা সাইকেল চালিয়ে অফিস যাতায়াত করেন, তাদের এই সময়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়েছেন ৪৫ ভাগ এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়েছেন ৪৬ ভাগ!
গবেষণায় দেখা যায়, তারা সপ্তাহে গড়ে ৩০ মাইল সাইকেল চালিয়েছেন। যারা তার চেয়ে বেশি সাইকেল চালান, তারা ততোই সুস্থ থাকেন। গবেষণা এই রিপোর্টটি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত হয়। আর যারা হেঁটে কাজে যান তারাও হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়েছেন। তবে সপ্তাহে অন্তত ৬ মাইল হাঁটলেই সেটা সম্ভব হবে।
এই বিষয়ে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড জেসন গিল বলেছেন, এটা এখন প্রমাণিত যে, কে কোন উপায়ে কাজে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তার স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্পর্কও রয়েছে। বিশেষ করে সাইকেল চালিয়ে কাজে যাওয়ার উপকারের কথা অনস্বীকার্য। সাইকেল চালালে তখন অভ্যাস তৈরি হয়ে যায়। মনের সঙ্গে যুদ্ধ করতে হয় না।
ঠিক কী কারণে সাইকেল চালালে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে, এই গবেষণায় সেটি অবশ্য দেখা হয়নি। তবে একটি ব্যাখ্যা হলো, সাইক্লিং করলে শরীরে মেদ ও প্রদাহ কমে। ব্রিটেনের শীর্ষ বেসরকারি ক্যান্সার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে’র ক্লেয়ার হাইড বলেছেন, এই গবেষণা দেখিয়ে দিচ্ছে প্রতিদিনের জীবনযাপনে যারা যতো বেশি সক্রিয় থাকবেন, তাদের রোগের ঝুঁকিও ততো কমে যাবে।
অবশ্য বাংলাদেশেও সাইক্লিংয়ে জনপ্রিয়তা সাম্প্রতিক সময় বাড়ছে। রাজধানী ঢাকার রাস্তায় বের হলেই টের পাওয়া যায় সেটি। অপরদিকে বাণিজ্যিকভাবেও বেড়েছে দেশের সাইকেল বেচাকেনা ব্যবসা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।