দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি মরু অঞ্চলের ফল হলো খেজুর। পুষ্টিমানে যেমন এটি অত্যন্ত সমৃদ্ধ, তেমনি এর রয়েছে অসাধারণ কিছু ঔষধিগুণাগুণ। জেনে নিন খেজুরের নানা ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলা হয়েছে যে, সারা বছর খেজুর খাওয়া মানব স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এই ফলটিতে রয়েছে প্রাণঘাতী রোগ নিরাময়ের ক্ষমতাও। চলুন জেনে নেওয়া যাক খেজুরের কিছু ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে।
# হৃদপিণ্ডের সমস্যা দূর করতে প্রতিদিন খেজুর খাওয়া অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, পুরোরাত খেজুর পানিতে ভিজিয়ে সকালে পিষে খাওয়ার অভ্যাস হার্টের রোগীদের সুস্থতায় কাজ করে থাকে।
# রুচি বাড়াতে খেজুরের কোনো তুলনা নেই। অনেক শিশুরা এটি তেমন একটা খেতে চায় না, তাদেরকে নিয়মিত খেজুর খেতে দিলে রুচি আবারও ফিরে আসবে।
# তুলনামূলকভাবে শক্ত খেজুরকে পানিতে ভিজিয়ে (সারা রাত) সেই পানি খালি পেটে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হতে পারে। তাজা খেজুর নরম ও মাংসল যা সহজেই হজম হয়ে যায়।
# ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই ফলটি দৃষ্টিশক্তির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেল বিদ্যমান রয়েছে যে কারণে অনেক রোগ নিরাময় করা সম্ভব। সেই সঙ্গে আমাদের শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেও সহায়তা করে।
# খুব দুর্বল লাগছে কিংবা দেহে এনার্জির অভাব বোধ হচ্ছে? তাহলে ঝটপট খেয়ে নিন কয়েকটি খেজুর। তাৎক্ষণিকভাবে দেহে এনার্জি সরবরাহের ক্ষেত্রে খেজুরের তুলনা নাই।
# খেজুর বিভিন্ন ক্যান্সার থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে। যেমন- খেজুর লাংস এবং ক্যাভিটি ক্যান্সার থেকে শরীরকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।
# খেজুরের মধ্যে রয়েছে স্যলুবল এবং ইনস্যলুবল ফাইবার ও বিভিন্ন ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড রয়েছে যা সহজে খাবার হজমে সহায়তা করে। এতে খাবার হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকেও রেহাই পাওয়া যায়।
# খেজুরে রয়েছে ডায়েটরই ফাইবার যা কোলেস্টোরল হতে মুক্তি দেয়। যে কারণে ওজন বেশি বাড়ে না, সঠিক ওজনে দেহকে সুন্দরও রাখা যায়।
# প্রচুর পরিমাণে আয়রণ রয়েছে খেজুরে। প্রতিদিন খেজুর খাওয়ার অভ্যাস দেহের আয়রণের অভাব পূরণ করে ও রক্তস্বল্পতা রোগের হাত হতে রক্ষা করে। যাদের এই রক্তস্বল্পতার সমস্যা রয়েছে তাদের প্রতিদিন খেজুর খাওয়া উচিত। কারণ হলো, রক্তস্বল্পতা এবং শরীরের ক্ষয়রোধ করতে খেজুরের রয়েছে বিশেষ ধরনের গুণ।
# খেজুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পক্ষাঘাত ও সব ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অবশকারী রোগের জন্যও খেজুর খুবই উপকারী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।