দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ একটি সর্বজনীন ফল পেঁপে। বাংলাদেশের প্রায় সব ঋতুতেই পেঁপে পাওয়া যায়। কাঁচা ও পাকা উভয় পেঁপেই শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পেঁপে চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
কাঁচা পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিওলাইটিক এনজাইম। এই উপাদানটি প্রোটিন হজমের জন্যও সাহায্য করে। তাই প্রচুর পরিমাণে গরু, খাসি কিংবা মুরগির মাংসের সঙ্গে কাঁচা পেঁপে বা রান্না করা পেঁপে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়ে যায়, মাংসের আমিষ ভালোভাবে রক্তের সঙ্গে মিশে যায় এবং মাংসের চর্বির ক্ষতিকর দিকটাও কমিয়ে দেয়। তাছাড়া মাংসে কাঁচা পেঁপে দিলে তা সিদ্ধ হয় খুব দ্রুত। কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস পাতা কিংবা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তাছাড়া পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধেও। কাঁচা পেঁপের প্রোটিওলাইটিক এনজাইম ক্যান্সার নিরাময়ে রাখে গুরুত্বপূর্ণ এক ভূমিকা। এই উপকারের জন্য কাঁচা পেঁপে রান্নার পরিবর্তে কাঁচা খাওয়াই ভালো। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ রয়েছে পাকা পেঁপেতে। ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যুদ্ধ করে ছোঁয়াচে রোগের বিরুদ্ধেও, দাঁত, চুল, ত্বকের জন্য বয়ে আনে অনেক সুফল।
অ্যান্টি অ্যাজিং ফ্যাক্টর অর্থাৎ বৃদ্ধ বয়সকে দূরে ঠেলে দেওয়ার উপাদানও রয়েছে এই পেঁপেতে। তাই ত্বকের ওপরেও কাজ করে এই ফলটি। এতে কোনো খারাপ কোলস্টেরল, চর্বি কিংবা ফ্যাট নেই। মোটা মানুষরা দুশ্চিন্তামুক্ত হয়েই খেতে পারেন পেঁপে। তবে ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে মিষ্টি পেঁপে পরিহার করায় ভালো।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।