দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কেবলমাত্র বড়দের দুঃস্বপ্ন দেখার সমস্যা রয়েছে তা কিন্তু নয়। ছোটরাও প্রায় দুঃস্বপ্ন দেখে। ঘুমালেই কেঁদে ওঠে বা ঘুমাতে চায় না অনেক শিশু।
কেনো শিশুরা কেঁদে উঠেছে সেটা জিজ্ঞেস করলেও অনেক সময় বলতে পারে না। শিশুরা যদি ঘুম থেকে ভয় পেয়ে জেগে ওঠে, তাহলে তাকে অভয় দিতে হবে। ধৈর্যসহকারে শুনুন সন্তানের কথা। কী ধরণের স্বপ্ন দেখেছে সেটা বোঝার চেষ্টাও করুন। যদি সন্তান বিষয়টি বলতে না চায়, তাহলে জোর না করে আবারও ঘুম পাড়িয়ে দিন। যদি সন্তান বলতে পারে স্বপ্নের বিষয়ে, তাহলে সেটা নিয়ে আপনি একটু ভাবুন। সাম্প্রতিক সময় দেখা কোনো কার্টুন, ভিডিও, সিনেমায় সেই রকম কোনো দৃশ্য রয়েছে কিনা সেটি বোঝার চেষ্টা করুন।
আপনার শিশু সন্তানের সামনে ঝগড়া-বিবাদ অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। অনেক সময় পরিবারের কাওকে উচ্চস্বরে রাগ প্রকাশ করতে দেখেও সন্তান ভয় পেয়ে যায় এবং তখন রাতে দুঃস্বপ্ন দেখে। এছাড়াও বাবা-মায়ের মনোমালিন্যও সন্তানের মনে খারাপ একটা প্রভাব ফেলতে পারে। তাই এই বিষয়টি সকলকেই খেয়াল রাখতে হবে।
সন্তানের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা অবশ্যই বন্ধুত্বপূর্ণ হওয়া জরুরি। এতে যে কোনো সমস্যার কথা আপনাকে ভয় ছাড়াই বলতে পারবে। সন্তানের সঙ্গে প্রচুর কথা বলুন। শুধু ওর সেই দুঃস্বপ্ন নিয়ে নয়, সবকিছু নিয়েই কথা বলুন। কোনো সমস্যার কথা বলতে ভয় পেলেও রাতে সেটা দুঃস্বপ্ন হয়ে হানা দিতে পারে সন্তানের মধ্যে।
একটি বিষয় হলো সন্তানের দুঃস্বপ্ন দেখা বেড়ে গেলে সব ধরণের ডিভাইসের ব্যবহার অবশ্যই কমিয়ে দিন। বিশেষ করে রাতে ঘুমাবার আগে মোবাইল, ল্যাপটপ কিংবা টেলিভিশন দেখতে না দেওয়াই ভালো। তাতে কিছুটা উন্নতি হতে পারে দু:স্বপ্নের বিষয়ে। # চ্যানেল আই অনলাইন অবলম্বনে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।