দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করোনা লক্ষণ রয়েছে অথবা নেই এমন সব রোগীকেই পরামর্শ দেওয়া হয় নিয়মিত মেডিটেশন করার এবং যোগ ব্যায়াম করার।
মেডিটেশন চর্চা করেন এবং এ সংক্রান্ত পড়াশুনা ও বাস্তব অভিজ্ঞতার যাদের রয়েছে তারা নিশ্চিতভাবে জানেন যে, মেডিটেশন চর্চা করলে রোগীর মনোবল, সাহস আশাবাদ সবই বেড়ে যায়। তখন দূর হয় আতঙ্ক। যে কারণে রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়। এসব কিছুই বিবেচনা করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের ডা. আয়শা হান্নার মত অনেক চিকিৎসকই এখন আতঙ্কমুক্তির পরামর্শ দিচ্ছেন মেডিটেশন করার জন্য।
এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা ভাইরাস আতিঙ্কত করে রেখেছে পুরো মানব সমাজকে। যে কারণে মানুষের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। এই ক্ষতির হাত থেকে বাঁচার জন্য ও করোনাতঙ্ককে জয় করার জন্যই চিকিৎসকরা এখন পরামর্শ দিচ্ছেন মেডিটেশন কিংবা ধ্যান চর্চা করার জন্য। মূলত মেডিটেশন আসলে এক ধরনের ব্যায়াম। যাকে বলে মনের ব্যায়াম। সেইসঙ্গে যোগ ব্যায়াম অর্থাৎ শরীরের ব্যায়াম তো রয়েছেই।
সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মানুষের মধ্যে গত এক বছর ধরে মানসিক স্বাস্থের বিষয়ে অনেক বেশি সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। মানুষ বুঝতে শুরু করেছে যে, নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে না পারলে ভাইরাস হতে কারও নিস্তার নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়লে কোটি কোটি ভাইরাস আশে পাশে দিয়ে ঘোরাঘুরি করলেও কিছুই করতে পারবে না। মেডিটেশনের দিকে আগ্রহী হওয়ার সেটাই প্রধান একটি কারণ। কেনোনা, মেডিটেশন করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যে বাড়ে তা এখন চিকিৎসা বিজ্ঞানের গবেষণাতেই প্রমাণিত হয়েছে। সেইসঙ্গে মেডিটেশনের কারণে এড্রিনালিন হরমোনের প্রবাহও কমে। এই হরমোন দেহ-মনে ভয় আতঙ্ক সৃষ্টি করে থাকে। অর্থাৎ, মেডিটেশন করলে অবধারিতভাবেই আতঙ্ক কমে যাবে। আতঙ্ক কমে গেলে সুস্থতার সামর্থ্যও অনেক গুণ বেড়ে যায়।
এই তথ্য দিয়েছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আয়শা হান্না।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।