দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তেজপাতা এমন একটি জিনিস যা শুধু রান্নার স্বাদেই নয়, কাজে লাগতে পারে বিভিন্নভাবে। কারণ তেজপাতার বিস্ময়কর কয়েকটি গুণও রয়েছে।
তেজপাতা হলো রান্নাঘরে ব্যবহৃত অন্যতম একটি মশলা। এটি সাধারণত রান্না ও বিরিয়ানি, পোলাওসহ রেসিপিতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তেজপাতা খাবারের স্বাদ যোগ করতে বিশেষ সহায়তা করে। এছাড়াও এটি শতাব্দী ধরে ঐতিহ্যবাহী ওষধি হিসাবেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
তেজপাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, ভিটামিন এ, সি, বি ৬, আয়রণ, পটাসিয়ামের সমৃদ্ধ উৎসও রয়েছে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে শক্তিশালী প্রভাবও ফেলে। এই মশালায় পাওয়া যৌগগুলো হজম বৃদ্ধি করতে, অন্ত্রের সিন্ড্রোম (আইবিএস) প্রশমিত করতে বহুলভাবে পরিচিত। তেজপাতা স্ট্রেস হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত করতেও সহায়তা করে।
হার্টবান্ধব তেজপাতা
তেজপাতার জৈব যৌগের মধ্যে রয়েছে ক্যাফেক অ্যাসিড। এই উপাদানগুলো হার্টের দেওয়ালকে মজবুত করে ও কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে থাকে। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে তেজপাতা।
অরুচিতে তেজপাতা
অরুচি দূর করে তেজপাতা। সেজন্য তেজপাতা সেদ্ধ করে তার পানি খাওয়ার প্রচলন রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। মাথার হালকা ব্যথা কিংবা মাথাধরা দূর করার জন্য লবঙ্গ এবং তেজপাতা দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়ারও প্রচলন রয়েছে আমাদের সমাজে। মাড়িতে ব্যথা বা ক্ষত হলেও তেজপাতা–সেদ্ধ পানিতে অল্প পরিমাণ লবণ মিশিয়ে গার্গল করার প্রচলন রয়েছে আমাদের সমাজে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে তেজপাতার ব্যবহার
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায় যে, টানা ৩০ দিন ১ হতে ৩ গ্রাম তেজপাতা গ্রহণ করলে রক্তে গ্লুকোজ এবং কোলেস্টরেলের পরিমাণ কমে যায়। তেজপাতায় থাকা উপাদান ইনসুলিনের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
মানসিক চাপ কমাতে তেজপাতা
তেজপাতার মধ্যে রয়েছে লিনালুল নামক এক ধরনের উপাদান। এটি দেহের উৎকণ্ঠা কাটাতে, শান্ত থাকতে এবং হতাশা দূর করতে সহায়তা করে থাকে।
সর্দিকাশি কিংবা ফ্লু এড়াতে তেজপাতা
তেজপাতাতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল শ্বাসযন্ত্রের বিভিন্ন প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে থাকে। সর্দিকাশি কিংবা ফ্লু এড়াতে তেজপাতা সেদ্ধ করে খেলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
হজমশক্তি বাড়ায় তেজপাতা
হজমশক্তি বাড়াতে তেজপাতার জুড়ি নেই। এটি শরীর হতে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দেয় ও শরীরকে আরও ভালোভাবে কাজ করতে সহায়তা করে থাকে। তেজপাতায় আরও রয়েছে এমন জৈব যৌগ, যা পেটের অসুখ সারাতেও সাহায্য করে। ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (আইবিএস) কিংবা অন্ত্রের স্বাভাবিক কার্যকারিতার ত্রুটিজনিত সমস্যায় তেজপাতা খুবই কার্যকর একটি জিনিস। অনেক সময় শরীর জটিল প্রোটিন খুব সহজে হজম করতে পারে না, তেজপাতা তা হজমে সাহায্য করে থাকে।
ক্ষত নিরাময় করে তেজপাতা
বিভিন্ন ধরনের ক্ষত নিরাময়ে তেজপাতার জুড়ি নেই। এক গবেষণায় দেখা যায়, এটি জীবাণুনাশক হিসেবেও কাজ করে থাকে।
ব্যথা উপশমে কার্যকর তেজপাতা
তেজপাতার অন্যতম গুণই হলো এটি প্রদাহের বিরুদ্ধে খুবই কাজ করে। এটি যে কোনো ধরনের মাথাব্যথা উপশমেও কার্যকর। তেজপাতায় রয়েছে ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট উপাদান, যা প্রদাহ দূর করে থাকে। ব্যথা হতে মুক্তি পেতে তেজপাতার এসেনশিয়াল ওয়েল খুবই উপকারী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।