দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সবারই একটি সমস্যা দেখা যায় আর তা হলো মুখমণ্ডল ব্রণ বা ব্ল্যাকহেড। আপনি হয়তো নিজেকে প্রশ্ন করেছেন যে কেনো বেশি ব্রণ ওঠছে। ব্রণের সবচেয়ে স্পষ্ট কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো- ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া।
অপরিষ্কার ত্বকের ছিদ্র যা নোংরাতে ভর্তি থাকে। এটিই হলো ব্রণের অন্যতম প্রধান কারণ। তাই মুখমণ্ডলে ব্রণ এড়াতে ত্বকের ছিদ্রকে বন্ধ করে দেয় এমন অভ্যাসগুলো অবশ্যই বর্জন করতে হবে। এখানে মুখমণ্ডলে ত্বকের ছিদ্র বুজে ব্রণ ওঠার ৫টি কারণ উল্লেখ করা হলো।
ব্যায়ামের সময় মেকআপ ব্যবহার
মেয়েদের একটি প্রবণতা হলো সবখানে নিজেদেরকে সুন্দরী হিসেবে উপস্থাপনের প্রচেষ্টা চালানো। তবে ব্যায়াম এবং মেকআপ একসঙ্গে যায় না। ব্যায়ামের সময় মেকআপ ত্বকের ছিদ্রকে আরও বুজে দেয়। এর কারণ হলো, মেকআপ নিয়ে ব্যায়াম করলে ত্বকের ছিদ্রে ঘাম এবং ব্যাকটেরিয়া আটকে থাকে। তাই ত্বকের ছিদ্রকে উন্মুক্ত রেখে ঘাম ঝরাতে এবং ব্রণ এড়াতে হলে ব্যায়ামের আগে সকল মেকআপ তুলে ফেলতে হবে।
ত্বকের মৃতকোষ দূর না করা
এখানে এক্সফোলিয়েশনের কথা বলা হয়েছে। নিয়মিতভাবে এক্সফোলিয়েশন না করলে, ত্বকের মৃতকোষ দূর না করলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। ত্বকের ছিদ্র খুলতে বা উন্মুক্ত রাখতে সপ্তাহে এক-দুই বার কার্যকর স্ক্রাব দিয়ে ত্বককে স্ক্রাব করা দরকার। এতে ব্রণের প্রবণতাও কমে আসবে।
ভুল মেকআপের ব্যবহারে যা হতে পারে
ত্বকের ছিদ্রকে খোলা রাখতে নন-কমিডোজেনিক মেকআপ ব্যবহার করতে হবে। নন-কমিডোজেনিক প্রোডাক্টের মানেই হলো প্রোডাক্টটি ত্বকের ছিদ্রকে বুজে দেবে না। ত্বকের ছিদ্র উন্মুক্ত থাকলে মুখমণ্ডলে ব্রণ কিংবা ব্ল্যাকহেডের প্রবণতাও কমে আসবে।
অপরিষ্কার মোবাইল ফোন
আপনি মনে করতে পারেন, এটা একটি অযৌক্তিক কথা, তবে এর বাস্তবতা হলো- অপরিষ্কার মোবাইল ফোনের ব্যবহারে ত্বকের ছিদ্রও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। একটি অপরিষ্কার মোবাইল ফোনে যে কতো রকমের জীবাণু থাকে তার কোনো হিসাব নেই। ফোনে কথা বলার সময় এসব জীবাণু মুখের সংস্পর্শে চলে আসতে পারে। এভাবেই এক সময় ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্রণের সৃষ্টি হয়। তাই নিয়মিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ওয়াইপ দিয়ে ফোন মুছে নিতে হবে।
অপরিষ্কার বালিশের কভারে ঘুমানো
বালিশের কভার এবং বিছানার চাদর নিয়মিত ধুতে অলসতা কাজ করলে ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। অপরিষ্কার বালিশের কভার এবং বিছানার চাদরে ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু থাকে যা ঘুমানোর সময় সহজেই ত্বকে চলে যেতে পারে। যে কারণে ত্বকের ছিদ্র বুজে যাবে এবং প্রতিক্রিয়া হিসেবে ব্রণও ওঠবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।