দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ করলা যাকে উচ্ছেও বলা হয়। এটি মূলত এক প্রকার ফল জাতীয় সবজি। এলার্জি প্রতিরোধে এর রস খুবই উপকারি। আজ করলার উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ জেনে নিন।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও করলা খুবই উত্তম। প্রতিদিন নিয়মিতভাবে করলার রস খেলে রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। করলায় যথেষ্ট পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন ছাড়াও এতে আরও বহু গুণ রয়েছে। জেনে নিন, করলার আরও উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ।
ব্রকলি থেকেও দ্বিগুণ পরিমাণে বিটা ক্যারোটিন রয়েছে এই করোলায়। দৃষ্টি শক্তি ভালো রাখতে এবং চোখের সমস্যা সমাধানে বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী। করলায় প্রচুর পরিমাণে আয়রণ রয়েছে। আয়রণ হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। পালংশাকের দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম এবং কলার দ্বিগুণ পরিমাণ পটাশিয়াম করলাতে রয়েছে। দাঁত এবং হাড় ভালো রাখার জন্য ক্যালসিয়াম অত্যন্ত জরুরি। ব্লাড প্রেশার মেনটেন করার জন্য এবং হার্ট ভালো রাখার জন্য পটাশিয়ামের প্রয়োজন। করলায় যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন-সি’ও রয়েছে। ভিটামিন সি ত্বক এবং চুলের জন্য একান্ত জরুরি।
ভিটামিন সি আমাদের দেহে প্রোটিন এবং আয়রণ যোগায় এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ করলা কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা কমিয়ে দেয়। করলায় রয়েছে ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক এসিড, ফসফরাস, জিঙ্ক এবং ম্যাগনেসিয়াম।
এটি অসুখ নিরাময়েও সাহায্য করে। ডায়বেটিসের পেশেন্টের ডায়েটে অবশ্যই করলা রাখুন। করলায় রয়েছে পলিপেপটাইড পি, যা ব্লাড এবং ইউরিন সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করলার রস এবং করলা সিদ্ধ খেতে পারেন। নানা রকমের ব্লাড ডিজঅর্ডার যেমন স্ক্যাবিজ, রিং ওয়র্ম এর সমস্যায় করলা খুবই উপকারি। এটি ব্লাড পিউরিফিকেশনেও সাহায্য করে। স্কিন ডিজিজ এবং ইনফেকশন প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
করলা পাতার রসও খুবই উপকারী। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে, নানা ধরনের ইনফেকশন হতে সুরক্ষা দেয়। এনার্জি এবং স্টেমিনা বাড়িয়ে তুলতেও করলা পাতার রস সাহায্য করে। অতিরিক্ত এ্যালকোহল খাওয়ার অভ্যাস থেকে লিভার ড্যামেজড হলে, সেইসব সমস্যায় করলা পাতার রস দারুন কাজে আসে। ব্লাড ডিজঅর্ডার সমস্যায় লেবুর রস এবং করলা পাতার রস মিশিয়ে খেতে পারেন। করলা পাতার রসে মধু মিশিয়েও খেতে পারেন। অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, ফেরেনজাইটিসের মতো সমস্যাও কমাতে সাহায্য করে। এর মাধ্যমে সোরিয়াসিসের সমস্যা, ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করাও সম্ভব হবে। তাই খাবারের সঙ্গে অবশ্যই করলা রাখুন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।