দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফাইনালে উঠে এসেছে ইংল্যান্ড। ৫৫ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলবে থ্রি লায়নরা। দ্বিতীয় সেমিফাইনালের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে তারা ডেনমার্ককে হারিয়েছে।
দীর্ঘদিন ঘরে মাঠে ফাইনালের স্বপ্ন দেখে আসছিল হ্যারি কেইনরা। সেই স্বপ্নের ফাইনালে টানা ৩৩ ম্যাচে এবার অপরাজিত ইতালির মুখোমুখি হবে গ্যারেথ সাউথগেটের শিষ্যরা।
বুধবার (৭ জুলাই) রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। মিকেল ডামসগার্ডের দারুণ ফ্রি কিকে এগিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর আত্মঘাতী গোল করে ডেনমার্ক। অতিরিক্ত সময় গিয়ে ব্যবধান গড়ে দেন হ্যারি কেইন।
এই আসরে প্রথম দুই ম্যাচ হারার পর রূপকথা তৈরি করে ২৯ বছর পর সেমিফাইনালে ওঠে ডেনমার্ক। প্রথম ম্যাচে ক্রিস্টিয়ান এরিকসেনের মাঠে জ্ঞান হারানার পর বেঁচে ফেরায় অনুপ্রাণিত হয় পুরো দলটি। তবে সেমিফাইনালে এসে উড়তে থাকা ইংল্যান্ডের গোলবুহ্য ভাঙার পরও সাফল্য পেলো না ডেনিশরা।
পুরো ম্যাচে বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে ইংল্যান্ড। ১২০ মিনিটের লড়াইয়ে গোলের উদ্দেশে ২০টি শট নেন তারা, যার ১০টিই পৌঁছে লক্ষ্যে। বিপরীতে ডেনিশরা শট নিতে পারে মাত্র ৬টি, যার মাত্র ৪টি ছিল লক্ষ্যে।
প্রথম ১০ মিনিটের ইংলিশ আক্রমণের পর ধীরে ধীরে গুছিয়ে ওঠতে থাকে ডেনমার্ক। উল্লেখযোগ্য সুযোগ অবশ্য কেওই পাচ্ছিল না। গোটা টুর্নামেন্টে গোলপোস্ট অক্ষত রাখা ইংল্যান্ড ভেঙে পড়ে ৩০ মিনিটেই। ডামসগার্ডের দুর্দান্ত একটি ফ্রি কিক থামাতে পারেননি পিকফোর্ড। ঝাঁপিয়ে বলে আঙুল ছোঁয়ালেও তিনি রুখতে পারেননি। এবারের ইউরোয় সরাসরি ফ্রি কিকে এটিই ছিলো প্রথম গোল।
এদিকে ৩৮তম মিনিটে এসে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন রাহিম স্টার্লিং। হ্যারি কেইনের পাস পেয়ে ৬ গজ বক্সের মুখ থেকে ম্যানচেস্টার সিটি মিডফিল্ডারের নেওয়া শর্ট দারুণ নৈপুণ্যে রুখে দেন কাসপের স্মাইকেল। পরের মিনিটেই প্রতিপক্ষের ভুল ও কিছুটা ভাগ্যের জোরে সমতায় ফেরে ইংলিশরা।
কেইনের দারুণ থ্রু বল ধরে বুকায়ো সাকা বাইলাইন হতে গোলমুখে স্টার্লিংয়ের উদ্দেশেই ক্রস বাড়ান। সেটি রুখতে গিয়েই আত্মঘাতী গোল করে বসেন ডেনিশ অধিনায়ক সিমন কায়ের।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬ মিনিটে কাসপের ডলবার্ডের ডি-বক্সে বাইরে থেকে নেওয়া নিচু শটটি ঝাঁপিযে ফেরান পিকফোর্ড। ৪ মিনিট পর হ্যারি ম্যাগুইয়ারের হেড একইভাবে ঠেকিয়ে দলকে সমতায় রাখতে সমর্থ হন স্মাইকেল। ৭৩তম মিনিটে ম্যাসন মাউন্টের ক্রস ও কর্নারের বিনিময়ে ফেরান তিনি।
যে কারণে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে দুই দলেরই স্কোর সমান। এই অর্ধে তেমনভাবে কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। তাতে ২০০০ সালের পর প্রথমবার ইউরোর দুটি সেমিফাইনালই গেলো অতিরিক্ত সময়। প্রথম সেমিফাইনালে স্পেনকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে আসে ইতালি।
আগামী ১১ জুলাই রবিবার একই মাঠে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে ছন্দে থাকা দল দুটি। টানা ৩৩ ম্যাচ ধরে অপরাজিত ইতালির মুখোমুখি হতে চলেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এখন সময়ই বলে দেবে কে হাসবে শেষ হাসি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর
অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।