দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আফগানিস্তানে তালেবানদের দখলে যাওয়ার পর নানা রকম সমস্যা উঠে আসছে। বিশেষ করে নারীদের যেনো আতঙ্কের শেষ নেই। তবে আবারও ঘোষণা করা হয়েছে, পুরুষের সমান অধিকার পাবেন নারীরাও।
ভয় ও আতঙ্ক নিয়েই মোবাইলের কল রিসিভ করলেন আফগানিস্তানের এক নারী সাংবাদিক। অন্যপাশ থেকে যে বার্তাটি ভেষে এলো তা শুনে চোখেমুখে আতঙ্ক যেনো আরও বেড়ে গেলো। বার্তাটি ছিলো ‘তারা (তালেবান) শীঘ্রই আসছে’। অপরদিকে আফগানিস্তান তালেবানদের দখলে যাওয়ার পর হতে নিজের হত্যাকারির অপেক্ষায় রয়েছেন একজন নারী আইনজীবী। কারণ যে কোনো সময় তালেবানরা এসে তাকে হত্যা করতে পারে। ছোট্টশিশুরাও আশঙ্কা করছে, তার জন্য কতোদিনই বা স্কুলের গেট খোলা থাকবে।
এমনই এক ভয়ঙ্কর ও আতঙ্কিত বাস্তবতার মধ্যদিয়ে দিন পার করছেন আফগানিস্তানের নারী এবং শিশুরা। তবে তালেবানের পক্ষ থেকে জানানো হলো এর উল্টো কথা- আফগানিস্তানে নারীরাও পাবেন পুরুষের সমান অধিকার।
সম্প্রতি আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তালেবান আবারও নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারে- এমন আশঙ্কা করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। বিশেষ করে শিক্ষা এবং চাকরিসহ মৌলিক স্বাধীনতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। এর প্রেক্ষিতেই নারীদেরও পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করার কথা জানালো তালেবান।
কাতারের রাজধানী দোহায় স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র ড. সুহাইল শাহিন। তিনি বলেছেন, নারীদের কোনোকিছুই হারাতে হবে না আফগানিস্তানে। কেবলমাত্র হিজাব না পড়লে নতুন করে পরতে হবে। এরইমধ্যে অনেক শিক্ষিকা কাজেও ফিরেছেন, তারা কিন্তু কিছুই হারাননি।
নারী সাংবাদিকরা রীতিমতো কাজ শুরু করেছেন উল্লেখ করে সুহাইল শাহিন বলেছেন, তালেবান দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরেও নারীদের টিভির পর্দায় দেখা যাচ্ছে। নারীরা তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবেন। এই নিয়ে ভয়-ভীতির কোনোই সুযোগ নেই।
দেশটির কিছু কিছু প্রদেশে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা বলে দাবি করেছেন তালেবান এর ওই মুখপাত্র।
তবে গত শনিবার হেরাত প্রদেশে সরকারি এবং বেসরকারি সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সহশিক্ষা নিষিদ্ধ করেছে তালেবানের স্থানীয় শাখা। সেইসঙ্গে জানানো হয়, মেয়ে শিক্ষার্থীদের শুধু নারী শিক্ষক ও পুরুষ শিক্ষার্থীদের পড়াবেন শুধুমাত্র পুরুষ শিক্ষক।
কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তান থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যাদের অধিকাংশই ছিলো মেয়ে। এতে অন্য শিক্ষার্থীরাও ভয়ে রয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয় পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলোতে।
ক্ষমতাচ্যুত আফগান সরকারের কর্মকর্তাদের বাড়িতে দিয়ে তালেবান যোদ্ধারা হুমকি দিচ্ছে এমন অভিযোগ সরাসরি নাকচ করে দিয়ে ড. সুহাইল শাহিন বলেছেন, এটি একেবারে মিথ্যা খবর। বিরোধীদের করা এমন সব প্রতিবেদনের কোনো বাস্তব ভিত্তিই নেই।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।