দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১২ সেপ্টেম্বর খুলে যাচ্ছে স্কুল ও কলেজ পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার কারণে স্কুলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থাৎ বুকস্টল মালিকরা নাকাল হয়ে পড়েছিলেন। এখন তাদের মধ্যে আবার স্বস্থি ফিরে এসেছে।
করোনা প্রাদুর্ভাবে পুরো বিশ্বকে অকেজো করে রেখেছিলো। ২০২০ সালের মার্চের মাঝামাঝি থেকে দেড় বছর যাবত দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো। কয়েক দফায় ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিলো। তবে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ে এই ছুটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা এবং সেই মোতাবেক ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়। যে কারণে সেদিন থেকেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান কর্মসূচি আবারও চালু হতে চলেছে। দেশের করোনা পরিস্থিতি বেশ উন্নতি ঘটায় সরকার এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যেই ধোয়া-মোছার কাজ শেষ হয়েছে।
এদিকে স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্কুলগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিশেষ করে বুকস্টলগুলো এক নাকাল অবস্থায় পড়েছিলো। করোনার কারণে বুকস্টলগুলো বন্ধ অবস্থায় ছিলো। তারপর যেটুকু তারা খুলতে পেরেছেন তাও স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার কারণে বই, খাতা, পেন্সিল, কলম বিক্রি একেবারেই থমকে ছিলো। কারণ স্কুল কলেজের আইটেম বিক্রিই হলো তাদের বিক্রির সিংহভাগ অংশ।
তবে ১২ সেপ্টেম্বর স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের পর তাদের বেচা-বিক্রি বেড়েছে। শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের আনাগোনা শুরু হয়েছে এইসব বুকস্টলগুলোতে। যে কারণে বুকস্টল মালিকদের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
অপরদিকে মুদি দোকানগুলোতে ডিম পাউরুটি বিক্রি শুরু হয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে পাউরুটি বিক্রি একেবারেই কমে এসেছিলো বলে জানিয়েছেন একজন মুদি দোকানী। স্কুল খোলা না থাকায় সীমিতভাবে চলতো পাউরুটি। এখন আবার পূর্বাবস্থায় ফিরে আসছে বলে জানিয়েছেন রাজধানী ঢাকার একজন মুদি দোকান ব্যবসায়ী।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।