দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের মানুষের জন্য বীমা সেবা আরও সহজলভ্য করে তোলার লক্ষ্যে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে মেটলাইফ বাংলাদেশ।
এই চুক্তির ফলে মেটলাইফ গ্রাহকরা সারা দেশে ওয়ান ব্যাংকের একশো’রও বেশি এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টারের মাধ্যমে তাদের প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবেন।
২০১৫ সাল থেকে মেটলাইফ এর গ্রাহকরা ওয়ান ব্যাংক এর ১২৮ টি শাখা এবং উপ-শাখার মাধ্যমে প্রিমিয়াম প্রদানের সুবিধা পেয়ে আসছিলেন। এবার সেই সাথে যুক্ত হলো এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টার অর্থাৎ মেটলাইফ গ্রাহকরা এখন ওয়ান ব্যাংক এর যেকোন চ্যানেল – শাখা, উপ-শাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টার থেকে প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবেন।
গ্রাহক সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওয়ান ব্যাংক এর শাখা, উপ-শাখা এবং এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টার থেকে প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবেন। আর প্রিমিয়াম প্রদানের সাথে সাথেই গ্রাহক পেয়ে যাবেন মানি রিসিট রশিদ এবং কনফার্মেশন এসএমএস।
দেশের প্রান্তিক এলাকা থেকেও ব্যাংকিংয়ের প্রধান সেবাসমূহ গ্রহণ করা যায় বলে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ডিজিটাল আর্থিক সেবা প্রদান এবং দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধিতেও এজেন্ট ব্যাংকিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
ওয়ান ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেন্টারে প্রিমিয়াম প্রদানের পাশাপাশি, মেটলাইফ গ্রাহকরা ইএফটি, অনলাইন ব্যাংকিং; মেটলাইফ ওয়েবসাইট ও কাস্টমার সার্ভিস সেন্টার এবং মেটলাইফ অনুমোদিত এটিএম, এজেন্ট ব্যাংকিং অউটলেটস ও শাখাসমূহ এবং রকেট, বিকাশ এবং নগদ এর মতো নানা ভাবে প্রিমিয়াম প্রদান করতে পারবেন।
১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়ান ব্যাংক একটি তৃতীয় প্রজন্মের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যা সমগ্র দেশজুড়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
প্রিমিয়াম পরিশোধ সুবিধা সম্প্রসারণের ব্যাপারে মেটলাইফ বাংলাদেশ-র প্রধান নির্বাহী আলা আহমদ, এফসিএ বলেন, “বাংলাদেশের মানুষের জন্য বীমা সহজলভ্য ও সুবিধাজনক করে তোলা মেটলাইফ-এ আমাদের প্রধান লক্ষ্য। নিয়মিত প্রিমিয়াম পরিশোধ গ্রাহকদেরকে বীমার সুবিধাগুলো সম্পূর্ণরূপে উপভোগ করার সুযোগ দেয় এবং মেটলাইফের বীমা সেবা বাংলাদেশের মানুষের কাছে আরও সহজলভ্য করে তুলতে আমাদের সেবা প্রদানের চ্যানেলসমূহ ধারাবাহিকভাবে সম্প্রসারণ করে চলেছি।”
ওয়ান ব্যাংক-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. ফখরুল আলম বলেন, “আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষকে সর্বোত্তম ব্যাংকিং পণ্য ও সেবা প্রদান করা। আমরা আমাদের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা সম্প্রসারণে মেটলাইফ বাংলাদেশের সাথে একযোগে কাজ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত।” খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।