দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মুড়ি খুব সাধারণ খাবার হলেও সবারই পছন্দের একটি খাবার এই মুড়ি। সকাল কিংবা বিকেল, নাস্তার টেবিলে অনেকের পছন্দ মুড়ি। আজ জেনে নিন প্রতিদিন মুড়ি খাওয়া উপকারীতা সম্পর্কে।
আমরা অনেক সময় চানাচুর-মুড়ি একসঙ্গে মেখেও খেয়ে থাকি। ডায়েট হিসাবেও অনেকেই আবার বেছে নেন মুড়ি। তবে প্রতিদিন মুড়ি খাওয়া কী স্বাস্থ্যের জন্য ভালো? এটি খেলে কী উপকার হবে তা জেনে নিন।
সাধারণত অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধানে মুড়ি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত মুড়ি খেলে পেটে অ্যাসিডের ক্ষরণে ভারসাম্য রক্ষা হয়। প্রচণ্ড অ্যাসিড হলে, মুড়ি পানিতে ভিজিয়ে খেয়ে নিতে পারেন। এতে করে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পালাবে আপনার অ্যাসিড। তাছাড়া মুড়িতে ক্যালসিয়াম এবং আয়রন থাকে। এটি হাড় শক্তও করে।
মুড়িতে ক্যালরির মাত্রা তুলনামূলকভাবে কম। অল্প খিদে পেলে মুড়ি খেলে পেটও ভরে যাবে। ক্যালরির মাত্রা কম বলে মুড়ি খেলে ওজনও বাড়বে না। যারা হালকা খাবার হিসাবে নিয়মিত মুড়ি খেয়ে থাকেন, তাদের পক্ষে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব সহজ। সাধারণত এক কাপ মুড়িতে ৫০ হতে ৬০ শতাংশ ক্যালরি থাকে।
শর্করাজাতীয় খাবার হলো এই মুড়ি। তাই ভাত কিংবা রুটির বদলেও মুড়ি খাওয়া যাবে। চিনি দিয়ে ভেজেও খাওয়া যায়, আবার মুড়ি সুন্দর করে মাখিয়েও খাওয়া যায়। তবে চানাচুরের বদলে ছোলা বা মটরশুঁটি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়াটা তুলনামূলক ভালো। কিন্তু মনে রাখতে হবে, মুড়ি খেলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কিছুটা হলেও বেড়ে যেতে পারে। তাই যাদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে, তারা এটি এড়িয়ে চলুন।
মুড়িতে লবণের পরিমাণ বেশি থাকায় উচ্চ রক্তচাপ এবং হাইপার টেনশনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই এটি পরিহার করা উচিত। তথ্যসূত্র: আরটিভি।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।