দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের কবলে পড়েছে হাজার হাজার ঢাকা ফেরত মানুষ। আগামীকালকের অফিসকে সামনে রেখে অনেকেই আজ শনিবার ঢাকায় ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বিশাল যানজটের কারণে পড়েছেন মহা বিপাকে।
এবার ঈদের ছুটি কম থাকলেও ঈদ শেষ হতে না হতেই শুরু হয় জামায়াতের টানা ৪৮ ঘন্টার হরতাল। ফলে ঈদের পর বেশিরভাগ মানুষ আটকা পড়ে গ্রামের বাড়ি। হরতাল শেষে তাই ঢাকামুখী মানুষের চাপে মহাসড়কগুলো যেনো অনেকটাই বেসামাল হয়ে পড়েছে। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি বিকল হয়ে দীর্ঘ ৭০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কগুলোতে দীর্ঘ যানজটের কারণে ঢাকামুখী যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
জানা গেছে, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু একসেস রোডে প্রায় ৭০ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে দীর্ঘ যানজটের ফলে ঈদে কর্মস্থলে ফেরা হাজার হাজার যাত্রী সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে যানজট সৃষ্টি হয়েছে বলে বাসযাত্রী পরিবহন শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে। যানজট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ছাড়িয়ে চন্দ্রা-গাজীপুর-জয়দেবপুরের ২০ কিঃমিঃ ও চন্দ্রা-বাইপাইল-নবীনগর রোডের ১৫ কিঃমিঃ ছাড়িয়ে গেছে। পাবনা এক্সপ্রেসের এক কর্মকর্তা জানান, গত দুদিনের যানজটের কারণে তাদের কোন বাসের সিডিউল ঠিক নেই। যে কারণে কয়টার বাস কয়টায় যাবে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
গতকাল রাতে করটিয়া, জামুর্কি, গোড়াই ও ক্যাডেট কলেজ এবং কালিয়াকৈর এলাকায় মহাসড়কের পাশে ৪/৫টি মালবাহী ট্রাক এবং একটি বি আরটিসি বাস বিকল হয়ে পড়লে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে দুই পাশে তীব্র যানজট। মির্জাপুর থানা পুলিশ, বাসাইল থানা পুলিশ, দেলদুয়ার থানা পুলিশ, টাঙ্গাইল সদর থানা পুলিশ, কালিহাতী থানা পুলিশ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ যানজট নিরসনের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন।
যানজটের ফলে ঈদে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে বেশি। যানজটের কারণে বিশেষ করে শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা বেশি কষ্ট পাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে পুলিশের ওসি জোবায়দুল আলম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কালিয়াকৈর ব্রিজের উপর একটি বাস বিকল হয়ে যায়। ফলে মহাসড়কের উভয়পাশে এলেঙ্গা থেকে গাজীপুরের চন্দ্রা পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এক ঘন্টা পর ব্রিজের উপর থেকে বিকল বাসটি সরিয়ে নিলেও যানজট নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। শনিবারের মধ্যে এ রোডের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।