দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা শহরে দামি গাড়িতে করে সাধারণ মানুষকে ছিনতাই এর অভিযোগ শুনা যাচ্ছে, তবে পুলিশ ওই ছিনতাই দলকে ধরবে কিংবা সনাক্ত করতে পারছিলোনা। অবশেষে সেই প্রিমিও গাড়িটি এবং ছিনতাই দলের এক সদস্য ধরা পড়ল!
ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত গাড়িটির মডেল প্রিমিও এবং ৩,৪ জনের একটি দল এই গাড়ি নিয়ে ছিনতাই করে আসছিলো ঢাকা শহরে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এর একটি টিম ১৭/৭/১৪ তারিখ মহাখালী, গুলশান এলাকায় বিশেষ অভিযানে নিয়োজিত হয়। উক্ত টিম জানতে পারে যে, একটি সাদা প্রাইভেট কারে কয়েকজন ছিনতাইকারী ছিনতাই এর প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ঘটনা আঁচ করতে পেরেই ডিবি পুলিশ গাড়িটিকে ধাওয়া করে। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছিনতাইকারীরা দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পুলিশ পাশেই অবস্থান করা ঢাকা মহানগরের অবৈধ মাদক বিরোধী বিশেষ টিমের সাহায্য চাইলে,পরবর্তী সময়ে তাদের সাথে যোগ দেয় ডিবি’র অবৈধ মাদক টিম।
দুই দিক থেকে যৌথ টিমের তাড়া খেয়ে গাড়িটি ১৮/৭/১৪ খ্রি. রাত অনুমান ৩.১৫ টায় বাড্ডা থানাধীন হাতিরঝিলের ১ম ব্রিজের পার্শ্বে ঢালে এসে থামতে বাধ্য হয়। এসময় গাড়িতে অবস্থান করা ছিনতাইকারীদের দল গাড়ি থেকেই পুলিশের উপর গুলি ছুরতে থাকে, এক সময় উপায়ান্ত না দেখে ছিনিতাকারীরা গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের উপর গুলি বর্ষণ করতে থাকে। পুলিশ ও আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলি ছুড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে একজন ছিনতাইকারী আহত হয় এবং অপর ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনা স্থল থেকে তারা একজন আহত ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে, এবং তার কাছ থেকে ১টি পিস্তল ২ রাউন্ড তাজা গুলি, ৩ রাউন্ড গুলির খোসা ও ৩টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ছিনতাই এর কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা রং এর প্রিমিও প্রাইভেট কারও উদ্ধার করা হয়। আহত ছিনতাইকারীকে বাড্ডা থানা পুলিশের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরবর্তী সময়ে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে ঘটনা স্থলে আহত এবং পরে নিহত উক্ত ছিনতাইকারীর নাম গিয়াস উদ্দিন ওরফে আপন শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক (২৭), পিতা-আব্দুল মালেক ওরফে রুহুল আমিন, সাং-পূর্ব চানপুর, থানা-সেনবাগ, জেলা-নোয়াখালী। তার বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, ছিনতাই, অস্ত্র মামলাসহ ১৫টির অধিক মামলা রয়েছে। উক্ত ছিনতাইকারী ইতোপূর্বে ডিবি পুলিশ কর্তৃক একাধিক বার গ্রেফতার হয়েছিল।
এর আগে দি ঢাকা টাইমসে এই প্রিমিও গাড়ি নিয়ে ছিনতাই এর বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, সেখানে ডিএমপি পুলিশের এসিপি মাশরুফ হোসেনের ওপেন চ্যালেঞ্জ! বিষয়ে বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছিল এই ছিনতাই এর বিস্তারিত।