দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীর সুস্থ ও ভালো রাখতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো খাবার। ঠিকঠাক খাবার না পেলে শরীর পুষ্ট হবে না এবং ভালোও থাকবে না। তবে কয়েকটি খাবার রয়েছে যেগুলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে উপকার পাবেন।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা নানা কাজে ব্যস্ত থাকি। সারাদিন ছুটে চলেছি নানা কাজে। যে কারণে সঠিক সময় খাওয়ার কথা আমাদের মনেই থাকে না। খিদে পেলে আমরা যা খুশি তাই খেয়ে নিই। সেখান থেকেই গ্যাস-অম্বল, হজম না হওয়ার মতো নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।
রাতের খাবার আর সকালের নাস্তার মধ্যে দীর্ঘ একটা সময়ের বিরতিও থাকে। এই সময় ঠিকঠাক খাবার খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ খালি পেটে সঠিক খাবারই আমাদের সারাদিনের হজম ক্রিয়া ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
সকালে উঠে কোন খাবার দিয়ে দিনের শুরু করবেন:
গরম পানিতে মধু: প্রতিদিন সকালে উঠেই হলকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে স্টমাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে পারে। যে কারণে বদ-হজম বা গ্যাস-অম্বলের সমস্যা মাথা তোলার সুযোগ পাবে না। সেইসঙ্গে মধুতে উপস্থিত একাদিক পুষ্টিকর উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যাও কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
খালি পেটে পেঁপে: সকালে খালি পেটে পেঁপে খেলে অন্ত্র গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যথেষ্ট। পেঁপে খালি পেটে খাওয়র একটি সুপারফুড বলা যায়। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে পেঁপে এমন একটি ফল যা সারা বছর বাজারে পাওয়া যায়। পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং প্রোটিন। আরও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। পেঁপেতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে। সেই সঙ্গে এটি স্বাদেও মিষ্টি, যে কারণে সুগার রোগীদের প্রতিদিন একবাটি করে পাকা পেঁপে খেতে দেওয়া হয়ে থাকে। তাছাড়াও অনেকেই হজমের সমস্যায় ভোগেন। তাদেরও প্রতিদিন পাকা পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা।
বাদাম: সকালের নাস্তায় একমুঠো বাদাম খাওয়া খুবই স্বাস্থ্যকর। এটি অন্ত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলি কেবল হজমে উন্নতি করে না, এগুলো আপনার পেটের পিএইচ স্তরকেও স্বাভাবিক করে তোলে।
ভিজানো বাদাম: খালি পেটে বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বহু উপকার। বাদামে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন ই, ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা -৩ এবং ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। রাতারাতি ভিজিয়ে রেখে খেলে উপকার পাবেন। তথ্যসূত্র : এই সময়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।