দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গুপ্তধন রয়েছে তাই গ্রিনল্যান্ডকে কিনে নিতে চায় গোটা দুনিয়ার মানুষ! শুধু তাই নয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় রসিকতার সলে বলেছিলেন গ্রিনল্যান্ডকে তিনি কিনে নেবেন।
২০১৯ সালে তৎকালিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কথাটাকে রসিকতা অথবা ট্রাম্পসুলভ বাচালতা ভেবে উড়িয়ে দিলেই কিন্তু ল্যাঠা চুকে যেতো। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন অবশ্য বিষয়টি হালকা ভাবে নেননি তার কথাটাকে। তিনি সপাট জানিয়ে দিয়েছিলেন, গ্রিনল্যান্ডে এসে ব্যবসা করতে চাইলে স্বাগত, তবে কেনার বাসনা ভুলে যাওয়াই ভালো।
মেরুবৃত্তের অন্তর্গত বিশ্বের বৃহত্তম এই দ্বীপটি এখনও ডেনমার্কের অধীনে রয়েছে, গত চল্লিশ বছর ধরেই স্বশাসিত। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় আবার বিস্তর চটেছিলেন ট্রাম্প। যে কোনও মহিলাকে অপছন্দ হলেই যে বিশেষণটি সাধারণত প্রয়োগ করে থাকেন তিনি, ফ্রেডেরিকসেনকেও বললেন সেটিই ‘ন্যাস্টি’। আর তাই সেই সময়কার (সেপ্টেম্বরের) নির্ধারিত ডেনমার্ক সফর বাতিল করে দিলেন। গাল দিলেন ‘ন্যাটো’কেও। একটি আপাত-তুচ্ছ মন্তব্য থেকে কার্যত কূটনৈতিক সঙ্কটে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র কয়েকটি দিন।
ট্রাম্পের ওই কথাটা যে নেহাত রসিকতা নয়, বা রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর আদিম রিপুর প্রকাশও নয়; গ্রিনল্যান্ডকে দখল করার বাসনাটি রীতিমতো ভূ-রাজনীতি ও অর্থনীতির যুক্তি মেনে চলে, এটা মনে করার বিস্তর কারণও রয়েছে।
জানা যায়, ইউরোপ মহাদেশের অর্ধেকের সমান গ্রিনল্যান্ডের প্রায় পুরোটিই বরফাচ্ছাদিত। যেসব স্থানে বরফ নেই সেই জায়গাগুলোর মাটিও বেশ শুষ্ক। ফসল ফলানোর উপায়ও নেই তাতে। নেই কোনো গাছপালাও। তাই এখানকার জীবন বেশ কঠিন। আয়তনের তুলনায় দেশটিতে মানুষের সংখ্যাও অনেক কম, মাত্র ৫৮ হাজার টাকা।
ধীরে ধীরে অন্যকিছুর জন্যও গ্রিনল্যান্ড পরিচিত হয়ে উঠেছে। সেটি হলো- দেশটির খনিজ সম্পদ। শুধু খনিজ সম্পদ বললেও ভুল হবে, বলতে হবে দুষ্প্রাপ্য খনিজ সম্পদ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে দেশটির বরফ যতো গলছে, দুষ্প্রাপ্য সেই খনিজ সম্পদও ততোই বেরিয়ে আসছে। বহুমূল্যবান সেই খনিজের মধ্যে অন্যতম হলো- নিওডিমিয়াম এবং ডিস্প্রোজিয়াম।
দুষ্প্রাপ্য এই খনিজগুলো মূলত বাতাস চালিত ঘূর্ণনযন্ত্র, বৈদ্যুতিক গাড়ি ও বৈদ্যুতিক অন্যান্য ডিভাইস নির্মাণে অতি প্রয়োজনীয় কাঁচামাল। পুরো বিশ্বই বর্তমানে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প হিসেবে বিদ্যুৎশক্তির উপরেই আস্থা রাখতে চাইছে। তাই গ্রিনল্যান্ডের ওই দুষ্প্রাপ্য খনিজের প্রতি এখন সব দেশেরই নজর পড়েছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।