দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের বিজ্ঞানীদের একটি দল জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে সম্প্রতি আলোক বিচ্ছুরণক্ষম এক ধরণের খরগোশ ছানা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। মাতৃগর্ভ থেকে ভ্রুণ সংগ্রহ করে সেই ভ্রুণে বিজ্ঞানীরা এই প্রকৌশল প্রয়োগ করেছেন।
ইউনিভার্সিটি অব ইস্তাম্বুলের অধীনে হওয়া এই গবেষণায় তুরস্ক এবং হাওয়াইয়ের বিজ্ঞানীদের একটি দল কাজ করেছেন। জীবননাশী কিছু ব্যাধিগুলোর চিকিৎসা নিয়ে গবেষণার এক পর্যায়ে এই খরগোশের উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গবেষণাধীন মোট আটটি খরগোশ ছানার মধ্যে দুইটিকে আলোক বিচ্ছুরণক্ষম করে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। অন্ধকারে এদের গা থেকে তুলতুলে সবুজ আলো বেরিয়ে আসা, রেডিয়ামযুক্ত ঘড়িগুলো থেকে যেমনটি বেরোয়। হালকা সবুজ এই প্রভা সৃষ্টি করতে বিজ্ঞানীরা প্রথমে প্রাকৃতিকভাবে আলোক বিচ্ছুরণক্ষম প্রাণী জেলিফিশের ডিএনএ থেকে ওই বৈশিষ্ট্যের জন্য দায়ী জিনটি সংগ্রহ করেন। পরে মাতৃগর্ভ থেকে ভ্রুণ সংগ্রহ করে সেই ভ্রুণে ওই জিন প্রবেশ করানো হয় এবং পুনরায় ভ্রূণগুলো মাতৃগর্ভে স্থাপন করা হয়।
http://vimeo.com/71936493
জিন প্রকৌশলের মাধ্যমে এ ধরনের আলোক বিচ্ছুরণক্ষম প্রাণী তৈরির ঘটনা কিন্তু এইটাই প্রথম নয়। এর আগে আলোক বিচ্ছুরণক্ষম তেলাপোকা, বিড়াল এবং ইঁদুর তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
তথ্যসূত্র: দি গার্ডিয়ান