দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা অনেকেই হয়তো একটার পর একটা এন্টিভাইরাস ইন্সটল করে বিরক্ত হচ্ছি বা বারবার এক্সপি সেটআপ দিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। তবে এবার এন্টিভাইরাস ছাড়াই ভাইরাস দূর করা যাবে!
আমরা যতোই এন্টিভাইরাস ব্যবহার করিনা কেনো কদিনের মধ্যেই পেনড্রাইভ দিয়ে ভাইরাস ঢুকে পড়ে। সেজন্য আজ কয়েকটি সহজ ও কার্যকর সমাধান জেনে নিন।
পেনড্রাইভ দিয়ে ভাইরাস ছড়ানো বন্ধ করুন
কিভাবে ভাইরাস ছড়ায় আগে আমরা তা দেখি। ভাইরাস আক্রান্ত পিসিতে পেনড্রাইভ লাগালেই ভাইরাসটি পেনড্রাইভে তার একটা কপি তৈরি করে ফেলে। তখন একটা autorun.inf ফাইল তৈরি করে দেয়। এই আক্রান্ত পেনড্রাইভটিই অন্য পিসিতে লাগানোর পর এর সেঙ্গ জড়িত যে কোনো “Event” ঘটলে (যেমন open কিংবা explore করলে) autorun.inf ফাইলটি সক্রিয় হয়ে এই ভাইরাসটিকে Execute করে দেয়। তার অর্থ হলো কোনোভাবে এই autorun.inf ফাইলকে তৈরি হতে দেওয়া না হলে, ভাইরাস পেনড্রাইভে থাকলেও তা Execute করবে না। এখন সমাধান হলো আগে থেকে আপনি আপনার পেনড্রাইভে একটা autorun.inf নামে “ফোল্ডার” (যা ফাইল নয়) তৈরি করে রাখুন। তাহলেই আর তাকে রিপ্লেস করে আক্রান্ত পিসির ভাইরাসটি নিজস্ব autorun.inf ফাইল তৈরি করতে পারবে না। কারণ হলো বেশিরভাগ ভাইরাস নির্মাতারা এই বিদঘুটে সম্ভাবনাটা এড়িয়ে যান।
সিস্টেম ফাইলটি শো করুন
ভাইরাসের এক্সিকিউটেবল (*.exe) ফাইলগুলোর Attibute হয় সাধারণত Hidden ও Szstem File যা সাধারণত Show করাই থাকে না। তাই আপনি বুঝতেও পারেন না যে আপনার পেনড্রাইভে ভাইরাস রয়েছে কিনা। এই ধরনের ফাইল চিহ্নিত করতে Tools মেনু হতে Folder Options-এ গিয়ে View ট্যাব হতে Show Hidden Files and Folders রেডিও বাটন সিলেক্ট করে নিন।
এবার ঠিক তার নিচের Hide Extensions for known File Tzpes ও Hide Protected Operating Szstem Files লেখা দুটি চেকবক্স আনচেক করে নিয়ে Apply দিয়ে Ok করে বেরিয়ে আসতে হবে। এবার পেনড্রাইভে সন্দেহজনক কোন Hidden এক্সিকিউটেবল (*.exe) ফাইল দেখলেই তা ডিলিট করে দিন।
ড্রাইভ লেটার টাইপ করে পেনড্রাইভ খুলতে হবে
একটি জিনিস খেয়াল রাখতে হবে, আর তা হলো ভাইরাসে আক্রান্ত কিংবা সন্দেহজনক পেনড্রাইভ কখনই ডাবলক্লিক করে বা রাইট বাটনে ক্লিক দিয়ে (Open বা Explore করে) খুলবেন না। Address Bar থেকে Drive Letter (যেমন: D: ev I:) টাইপ করে খুলতে হবে। এতে করে ভাইরাস থাকলেও তা আপনার পিসিকে আক্রান্ত করার সুযোগই পাবে না। একইভাবে হার্ডডিস্কের অন্যান্য পার্টিশনে ভাইরাস থাকলেওতা ডিলিট করুন ও পিসি রিস্টার্ট করে নিন।
অপ্রয়োজনীয় প্রসেস দূর করতে হবে
অনেকসময় দেখা যায় ভাইরাস ফাইল চিহ্নিত করার পরও তা ডিলিট করতে গেলে এরর দেখা দেয় বা “Access is Denied” দেখায়। এই রকম হলে বুঝতে হবে যে ভাইরাসটি Process টি বর্তমানে Running অবস্থায় রয়েছে যা আপনাকে আগে বন্ধ করতে হবে। আপনি Ctrl+Alt+Delete চেপে Task Manager থেকে প্রসেসটি বন্ধ করতে পারবেন। তবে সমস্যা হয় তখনই যখন প্রসেসটি থাকে Hidden যা Task Manager এ Show ই করে না। এক্ষেত্রে আপনি HijackThis নামে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন যা বেশ ভালো একটি Spyware Remover. HijackThis স্টার্ট করে Scan করে তৈরি করা লগ ফাইলটি http://www.hijackthis.de/ এই সার্ভিসের মাধ্যমে সাবমিট করে বা কোন প্রোগ্রামের প্রসেস কি রকম বা রেটিং জেনে আপনি অনায়াসে Hidden Process এগুলো দূর করতে পারবেন অনায়াসে। তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।