দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বহু নাটকীয়তার পর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসলেন নব নির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন এবং আপিল বোর্ডের রায়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার।
গতকাল (রবিবার) সন্ধ্যায় শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষে সমিতির কার্যালয়ে কাঞ্চন-নিপুণকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেন সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগর। তারপর তারা নির্ধারিত আসন গ্রহণ করেন ও হাস্যোজ্জ্বল মুখে সাংবাদিকদের ক্যামেরাবন্দি হন।
প্রথমেই ইলিয়াস কাঞ্চনকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রাক্তন সভাপতি মিশা সওদাগর। তারপর অন্যান্য পদে বিজয়ীদের শপথ পাঠ করান নতুন সভাপতি কাঞ্চন।
তবে এই অনুষ্ঠানে আসেননি বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। মূলত আপিল বিভাগ এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই পদটির চূড়ান্ত হয়। সেখানে প্রার্থিতা বাতিল হয় জায়েদের। আর জয়ী হন নিপুণ। তাই শপথ অনুষ্ঠানে আগের প্যানেলের সাবেক সভাপতি মিশা সওদাগরের উপস্থিতি বাড়তি আকর্ষণ ছিল।
তবে নিপুণের এই বিজয়কে এখনও মেনে নিতে নারাজ জায়েদ খান। তিনি উল্টো দাবি করেছেন যে, এই আপিল বোর্ডই অবৈধ। তাই তিনি আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এমনকি শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানেও আসেননি গত দুই মেয়াদের সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন। এর প্রাথমিক ফলাফলে সভাপতি পদে জয়ী হন ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন জায়েদ খান। তবে পরবর্তীতে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগটি তোলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নায়িকা নিপুণ। যে কারণে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় আপিল বোর্ড বিষয়টি সুরাহার দায়িত্ব দিলে আপিল বোর্ড জায়েদের প্রার্থীতা বাতিল করে নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করে।
সর্বশেষ
চিত্রনায়ক জায়েদ খান শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবেন ও তার কাজে কেও বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না বলে হাইকোর্টের আদেশের পর জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
তাছাড়াও শিল্পী সমিতির নির্বাচন পরবর্তী সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা ও নির্বাচনী আপিল বোর্ড কর্তৃক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্তও স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে আজ (সোমবার) এই খবর পাওয়া গেছে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।