দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ ভাষায় ‘ড্রোন’ শব্দটি পাইলটবিহীন বিমানকেই বোঝায়। কখনও কখনও একে ‘Unmanned Aerial Vehicles’ (UAV) হিসাবেও সম্বোধন করা হয়ে থাকে।
সাধারণত সামরিক কাজ থেকে শুরু করে প্যাকেজ বিতরণসহ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ড্রোন এর ব্যবহার দিন দিন যেনো আরও বিস্তার লাভ করছে। মূলত সামরিক ও মহাকাশ শিল্পের জন্য ডিজাইন শুরু হলেও, ড্রোন মাধ্যমে সুরক্ষা ও দক্ষতার বর্ধিত স্তরের কারণে; এটি বর্তমানে মূলধারায় প্রবেশ করেছে।
প্রথম পাইলটবিহীন বিমান প্রথম-বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিকশিত হয়। এছাড়া ব্রিটেনের ‘এরিয়াল টার্গেট’- একটি ছোট রেডিও-নিয়ন্ত্রিত বিমান, ১৯১৭ সালের মার্চ মাসে প্রথম পরীক্ষা করা হয়। আর আমেরিকার তৈরি টর্পেডো প্রথম ১৯১৮ সালের অক্টোবরে উড়ে। সর্বপ্রথম ভিয়েতনাম যুদ্ধে বৃহৎ আকারে ড্রোন মোতায়েন করা হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের একটি যৌথ প্রকল্প আরকিউ-২-পাইওনিয়ার নামে ১৯৮৬ সালে – মাঝারি আকারের ও স্বল্প-ওজনের ড্রোন বানাতে সক্ষম হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ড্রোন এর এমন মডেল তৈরি করা হয় যা দীর্ঘ ফ্লাইট জ্বালানির সমস্যা মোকাবেলায় সৌর বিদ্যুতের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে।
ড্রোনের ব্যবহার যেভাবে বাড়ছে:
# ২০০১-এর সন্ত্রাসী হামলার পর হতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য উন্নত দেশসমূহ ড্রোন ব্যবহারের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে। এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল ও ভূখণ্ডগুলিতে নজরদারি করার জন্যও ব্যবহৃত হয় যেখানে সৈন্যদের নিরাপদে যাওয়া প্রয়োজন। তবে এগুলো অস্ত্র হিসাবেও ব্যবহৃত হয় ও সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় মিসাইল হামলা করতে পারে অত্যন্ত নিখুঁতভাবে।
# ড্রোনের সঙ্গে সংযুক্ত ক্যামেরার মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট এলাকার চিত্রও ধারণ করা যায়। বর্তমানে এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষকরা তাদের বিশাল জমিতে ফসলের বৃদ্ধি এবং রোগবালাইও সনাক্ত করতে পারেন। বড় খামারিরা তাদের খামারে এটি ব্যাবহার করে থাকেন। সার-কীটনাশক ছিটানোর জন্যও বিশেষ ধরনের ড্রোন বানানো হয়েছে।
# চিকিৎসা ক্ষেত্রেও ড্রোনের ব্যবহার করা হচ্ছে। জরুিরিওষুধ-ইঞ্জেকশন ও টিকা ডেলিভারি দেওয়া যাচ্ছে খুব সহজেই।
# করোনা ভাইরাস মহামারীর সময় কোয়ারানটাইন ও সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়ন করতে; চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহ করতে, ড্রোন এর ভূমিকা রয়েছে।
# বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরিতে বর্তমানে ড্রোনের মাধ্যমে জরিপ পরিচালনা করা হয়ে থাকে। বাণিজ্যিক কারখানা, পাহাড়ী রাস্তাঘাট, ব্রিজ ও বাঁধ এগুলো তৈরি করার পূর্বে ড্রোন উড়িয়ে সম্পূর্ণ প্লট এবং এর ম্যাপিং খুব সহজেই করা যায়।
# নাটক-সিনেমা ও মিউজিক ভিডিওতেও বর্তমানে ড্রোনের মাধ্যমে চিত্র ধারণ করা হয়। ফটোগ্রাফাররা UAV-গুলি বিস্তৃত এরিয়াল ছবি তোলার জন্যও ব্যবহার করে থাকেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।