দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই মনে করেন, ঘি খেলেই নাকি মারাত্মক ওজন বেড়ে যেতে পারে! সে কারণেই খেতে ভালোবাসলেও ঘি খেতে চান না অনেকেই। তবে এই ধারণা একেবারেই ভুল। ঘি খেয়েও নিয়ন্ত্রণে থাকবে ওজন! কীভাবে? জেনে নিন সেটি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘি খেলে একেবারেই ওজন বাড়ে না বরং স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী ঘি। তবে তা সঠিক তাপমাত্রা এবঙ সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে।
খাসির মাংস হোক বা শুক্তোই হোক, রান্নায় সামান্য ঘি পড়লেই তার স্বাদ বেড়ে যেতে পারে কয়েকগুণ। তবে খালি পেটে সকালে এক চামচ ঘি খেলে কী ঘটতে পারে, তা কী আপনার জানা রয়েছে?
# আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, খাঁটি ঘি-র উপকারিতা রয়েছে অনেক। সকালে খালি পেটে ঘি খেলে হজমশক্তি আরও উন্নত হয়। সেই সঙ্গে যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে, তাদেরও ক্ষেত্রেও ঘি ভীষণ উপকারী।
# কর্মব্যস্ত জীবনে বর্তমানে অনেকেরই রাতে ঘুমই আসতে চায় না, যে কারণে সারা দিন ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব থাকে। এক চামচ ঘি খেলে অনিদ্রার সমস্যা যেমন দূর হয়, সেইসঙ্গে অবসাদ ও নানা মানসিক সমস্যাও কমে যেতে পারে।
# অনেকেই বৃদ্ধ বয়েসে গাঁটের ব্যথায় কষ্ট পেয়ে থাকেন। সেই ব্যথা কমাতেও ঘি-র উপর ভরসা রাখতে পারেন।
# ঘি-তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা চেহারায় বয়সের ছাপ আসতে বাঁধা দেয়। ত্বক আরও উজ্জ্বল করে। চুলের স্বাস্থ্যের জন্যেও ঘি দারুণ উপকারী।
# ঘি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডে ভরপুর থাকে, যা পেটের চর্বি কমাতেও সাহায্য করে। তাই বলাই যায় যে, ঘি ওজন বাড়াতে নয়, ওজন ঝরাতেও কার্যকর।
# শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও ঘি’র জুড়ি মেলা ভার।
ঘি কীভাবে খাবেন?
কাঁচা হলুদ ও গোলমরিচ একসঙ্গে বেটে নিন। তারপর একটি পাত্রে পানি গরম করে তাতে বাটা মশলাটি দিয়ে ফুটাতে দিন। এক চা চামচ ঘি মিশিয়ে দিন সেই পানিতে। এভাবে এক মিনিট ধরে ফোটান। তারপর ভালো করে ছেঁকে নিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেয়ে নিন এই চা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।