দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুষ্টিবিদরা বলেছেন, আমরা খাদ্যের মাধ্যমে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করে থাকি, ব্যায়ামের মাধ্যমে তার ১০ থেকে ৩০ শতাংশই ঝরানো সম্ভব।
অনেকেই শরীরচর্চা করতে ভালোবাসেন? অনেকেরই ধারণা খাওয়া-দাওয়ায় রাশ না টেনেও কেবল ভারি শরীরচর্চা করলেই ওজন ঝরানো সম্ভব হবে! এটি কিন্তু একদমই ঠিক নয়।
পুষ্টিবিদরা বলেছেন, আমরা খাদ্যের মাধ্যমে যে পরিমাণ ক্যালোরি গ্রহণ করে থাকি, ব্যায়ামের মাধ্যমে তার ১০ থেকে ৩০ শতাংশই ঝরানো সম্ভব। তার বেশি কিন্তু নয়! বাস্তবে, আমরা প্রতিনিয়ত যে কাজকর্মগুলো করি তাতেও অনেক ক্যালোরি খরচ হয়ে থাকে। তবে এইসব বিষয় নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তাভাবনা করি না। শরীরচর্চা নিয়েই আমাদের সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা।
সাধারণত আমরা যখন অফিসের কাজ করি, ঘর পরিষ্কার করি কিংবা পড়াশোনা করি, তখনও কিন্তু ক্যালোরি খরচ হয়। এমনকি নিঃশ্বাস গ্রহণের জন্য, রক্ত প্রবাহের জন্য, শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ও হজম করতেও ক্যালোরির প্রয়োজন পড়ে।
আর ভারি শরীরচর্চা আমাদের মোট শক্তি ব্যয়ের একটি ক্ষুদ্র অংশের জন্যই দায়ী। অর্থাৎ জিমে বেশিক্ষণ সময় কাটালেই দ্রুত ওজন কমে যাবে, এমনটা ভাবার কোনও কারণই নেই। শরীরচর্চা করলেই খিদে পেয়ে যায়। আর তখন খিদে মেটাতে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে ফেলেন অনেকেই। অর্থাৎ জিমে এক ঘণ্টা ঘাম ঝরিয়ে যে পরিমাণ ক্যালোরি খরচ করে ফেললেন তার থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ ক্যালোরি আবার গ্রহণ করে নিলেন।
ওজন বৃদ্ধি ও ওজন হ্রাস আদপে এক জটিল প্রক্রিয়া যা মূলত জেনেটিক্স, দৈনন্দিন জীবনযাপন, কী খাচ্ছেন ও কতোটা খাচ্ছেন- এই সব কিছুর উপরেই নির্ভর করে। তাই ব্যক্তিভেদে ওজন কমানোর কৌশলগুলোও বিভিন্ন হতে হয়।
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো আপনার ডায়েট। সারাদিন খাদ্যতালিকায় আপনি কী রাখছেন, তার উপরই নির্ভর করবে আপনার ওজন আদৌ ঝরানো সম্ভব হবে কি না! মূলত আমাদের দেশে কার্বহাইড্রেটযুক্ত খাদ্যের প্রাধান্যই বেশি। ভাত-রুটি ছাড়া আমাদের একেবারেই চলে না। সেই কারণেই আমাদের মধ্যে ওবেসিটির হারও অনেক বেশি। মেদ ঝরাতে গেলে প্রথমেই খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানতে হবে। তবেই পাওয়া যাবে মনের মতো চেহারা। আর তখন শরীরও সুস্থ থাকবে।
শুধু শরীরচর্চা করলেই চলবে না, কার্বহাইড্রেটযুক্ত খাদ্য কম করে খান, চিনি খাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিন। খাদ্যতালিকায় শাকসব্জি এবং ফলের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিন, তাহলেই দেখবেন ওজন কমে যাচ্ছে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।