দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হলুদের গুনাগুণ এবং উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত। হলুদের মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন নামে একটি উপাদান। যেটি শরীর সুস্থ রাখতে একাই একশো।
যুগ যুগ ধরে হলুদের ব্যবহার শুধু মশলা হিসাবেই নয়, ঔষধি হিসাবেও ব্যবহার হয়ে থাকে। ভিটামিন ই বা ভিটামিন সি-র তুলনায় ৫ থেকে ৮ গুণ বেশি কার্যকরী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কারকিউমিন শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বা়ড়িয়ে দেয়। কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধেও হলুদ অপরিহার্য বলে দাবি করেছেন চিকিৎসকরা।
এই হলুদ প্রদাহজনিত সমস্যাও কমায় এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণে হলুদ গ্রহণের কারণে শরীরে আয়রণের পরিমাণও কমে যেতে পারে। আয়রণ এমন একটি খনিজ যা শরীরের পর্যাপ্ত হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য প্রয়োজন পড়ে। হলুদ শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রণ দ্রুত শোষণ করে। হলুদের স্টোইচিওমেট্রিক গুণাবলী আয়রণ শুষে নেয় ও শরীরে আয়রণের অভাবও ঘটাতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিন উপাদান আয়রণকে শুষে নিয়ে ফেরিক-কারকিউমিন তৈরি করে থাকে।
শরীরে কতোটা হলুদ প্রয়োজন?
হলুদ যদি খুব পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করা হয় তাহলে শরীর সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। প্রতিদিন ২,০০০-২,৫০০ মিলিগ্রাম হলুদ গ্রহণ করা শরীরে পক্ষে খুবই ভালো। এই পরিমাণ হলুদ শরীরে ৬০-১০০ মিলিগ্রাম কারকিউমিন সরবরাহ করে থাকে।
আয়রণের ঘাটতি হওয়া ছাড়াও দিনে অত্যধিক কারকিউমিন গ্রহণের কারণে হজমের সমস্যা, মাথা ব্যথা ও ত্বকে ফুসকুড়িও হতে পারে। তাছাড়াও লিভারের আকার বৃদ্ধি, পাকস্থলীতে আলসার, লিভারের ক্যান্সারের প্রবণতাও বা়ড়তে পারে।
কিন্তু যারা ইতিমধ্যেই অ্যানিমিয়া, পিত্তাশয়ে পাথরের মতো সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য হলুদ উপকারী নয়। তাই হলুদ খেলেও খুব সামান্য পরিমাণেই খাওয়া উচিত বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।