দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বাবা-মাকে খুনের দায়ে গ্রেফতারকৃত ঐশী নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে ঐশীসহ ৩ জনকে আজ আদালতে হাজির করা হবে।
পুলিশ দম্পতি মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান হত্যার সাত দিন অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত পুলিশ ঐশীর দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে তাদের গ্রেফতার করার জন্য। কারণ রিমান্ডে নিয়ে ঐশীর কাছ থেকে যেসব বক্তব্য পুলিশ পেয়েছে সেগুলোর সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তাদের গ্রেফতার করা জরুরি। ঐশী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিচ্ছে। সে বক্তব্যের কতটা সত্যতা রয়েছে তা পুরোপুরিভাবে যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না। ঐশীর অভিযুক্ত দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করতে পারলে এই জোড়া খুনির আপাতত সুরাহা হতো।
তবে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ মোটামুটিভাবে নিশ্চিত যে, বাবা-মার প্রতি চরম ক্ষোভের বহিপ্রকাশ এই হত্যাকাণ্ড। ঐশী রিমান্ডে এসে নানা ধারনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়েছে। প্রথমে বলেছিল বন্ধু জনি তাকে ঘুমের বড়ি দিয়েছিল। পরে আবার বলেছে, শান্তিনগরের একটি ওষুধের দোকান থেকে সে ঘুমের বড়ি সংগ্রহ করেছে। এদিকে অভিযুক্ত ঐশীর দুই বন্ধু জনি ও সাইদুলকে গ্রেফতারে পুলিশ ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে। রাজধানী ছাড়াও বিভিন্ন জেলাতে এ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অভিযুক্তরা যাতে সীমান্ত পেরিয়ে দেশের বাইরে যেতে না পারে সেজন্য সীমান্ত ইমিগ্রেশনকে সতর্ক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্র জানিয়েছে।
৫ দিনের রিমান্ড শেষে আজ শনিবার আদালতে হাজির করা হবে ঐশীসহ ৩ আসামীকে। এদের মধ্যে রয়েছে কাজের মেয়ে সুমি ও ঐশীর অপর এক বন্ধু মিজানুর রহমান রনি। সূত্রমতে, ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেওয়ার কথা রয়েছে।