দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা সবাই জানি প্রেশার কুকারে অনেক তাড়াতাড়ি রান্না হয়। তবে কয়েকটি জিনিস প্রেশার কুকারে না রান্না করাই ভালো।
অনেক সময় দেখা যায়, সকালে ঘুম হতে উঠতে দেরি হয়ে গেছে। আবার অফিসে বেরোনোর তাড়াও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে খুব বেশি সময়ও থাকে না রান্না করার। তখন ভরসা করতে হয় প্রেশার কুকারের উপর। পেট ভরাতে চটজলদি কিছু একটা বানিয়ে ফেলতে প্রেশার কুকার ছাড়া উপায়ও নেই। চাল, ডাল, নুন, তেল, হলুদ একসঙ্গে দিয়ে চাপিয়ে দিলেই চটজলদি তৈরি হয়ে যায় খিচুড়ি কিংবা ওই জাতীয় আরও বহু পদ। তবে অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো প্রেশার কুকারে রান্না করা একেবারেই উচিত নয়। এতে সেই খাবারগুলির পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
কোন কোন ধরনের খাবার প্রেশার কুকারে রান্না করবেন না
দুগ্ধজাত খাবার
দুধ দিয়ে তৈরি যে কোনও খাবার প্রেশার কুকারে রান্না না করাই ভালো। প্রেশার কুকারে রান্না করলে তার স্বাদও তখন ঠিক থাকে না। যাবতীয় পুষ্টিগুণ তখন নষ্ট হয়ে যায়।
ডিম
তাড়াহুড়োয় অনেকেই ডিম প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিয়ে থাকেন। ডিম সেদ্ধ করতে গিয়ে বেশি তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়ে। তাই ডিম খোলা পাত্রে সেদ্ধ করাই ভালো। এতে করে ডিম ফেটে যাওয়ার আশঙ্কাও কম থাকে। ডিম সেদ্ধ হলো কি না তা বুঝতেও প্রেশার কুকারের চেয়ে বড় কোনও পাত্র ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
শাক-সব্জি
সব্জির মধ্যে অনেক পুষ্টিগুণও থাকে। সেই জন্যেই প্রেশার কুকারে রান্না করা মোটেও উচিত নয়। এতে সব্জিতে থাকা ভিটামিন, খনিজ ও অন্যান্য পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। শাক-সব্জি সব সময় কড়াইতে রান্না করা উচিত। এতে করে দেরি হলেও স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ বজায় থাকবে।
ভাত
তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে বলে অনেকেই ভাত প্রেশারে রান্না করে থাকেন। প্রেশার কুকারে রান্না করা ভাত শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয়। প্রেশার কুকারে রান্না করা ভাত রাঁধলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।। এতে ফ্যান ঝরানোও যায় না। যে কারণে ফ্যান ভাতের সঙ্গেই মিশে থাকে। যে কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
মাছ
মাছ এমনিতেই খুব তাড়াতাড়ি রান্না হয়ে যায়। সে কারণে প্রেশারে মাছ রাঁধলে বেশি সেদ্ধ হয়ে যেতে পারে। মাছ বেশি সেদ্ধ হলে স্বাদও চলে যেতে পারে। নষ্ট হয়ে যেতে পারে পুষ্টিগুণ। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।