দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকরা বলেছেন, বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। কী সেইসব খাবার?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, কেবলমাত্র ভারতে প্রায় ২০ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ হাইপারটেনশন অর্থাৎ উচ্চ রক্তচাপে ভুগতেছেন। আদতে উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’ হলেও শুধু মাত্র জীবনযাপনের ধরন পাল্টে এটিকে রুখে দেওয়া যায় না। তবে জীবনযাপনের সব ধরণ পাল্টাতে না পারলেও কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে। যেমন পর্যাপ্ত ঘুম, যতোটা সম্ভব কম মানসিক চাপ নেওয়া, নিয়মমাফিক খাওয়া-দাওয়া করা- উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে দৈনন্দিন জীবনে এই অভ্যাসগুলো বজায় রাখা দরকার।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কাকে দূরে রাখতে পারে। জীবনযাপনে চটজলদি বদল আনতে না পারলেও ওইসব খাবারগুলো রাখুন প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায়। এতে করে আপনার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
উচ্চ রক্তচাপ ঠেকিয়ে রাখতে বেদানা একটি মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে। ফোলেট ও ভিটামিন সি-এর মতো পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বেদানায় প্রদাহও কমাতে সাহায্য করে। অন্যান্য ফলের রসের তুলনায় বেদানার রসে রয়েছে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। চিকিৎসকদের করা একটি গবেষণায় দেখা যায়, বেদানার রস সিস্টোলিক ও ডায়াস্টোলিক- উভয় প্রকারের রক্তচাপ কমাতেই সাহায্য করে থাকে।
চিকিৎসকরা আরও বলেছেন, ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ কমাতে নিয়মিতভাবে কমপক্ষে ২৪০ মিলিলিটার অর্থাৎ প্রায় এক কাপ বেদানার রস আপনাকে খেতে হবে। রক্তচাপ কমানোর পাশাপাশি বেদানার রস কোলেস্টেরল তৈরি করতেও বাধা দেয়। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও বেদানার রস অত্যন্ত কার্যকর একটি জিনিস। তবে সুফল পেতে হলে বেদানার রসে কখনও চিনি মেশানো যাবে না। চিনি রক্তে শকর্রার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।
শপিংমলে বর্তমান সময় প্যাকেটজাত বেদানার রস কিনতে পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, এই ধরনের রসের প্যাকেট দোকান থেকে না কিনে গোটা বেদানা কিনে বাড়িতেই রস করে নেওয়া অনেক বেশি নিরাপদ হবে স্বাস্থ্যের জন্য। কারণ প্যাকেটের রসে বাড়তি রাসায়নিক, রং ও চিনি থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।