দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোথাও বেড়াতে গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে গেলে বিদ্যুৎ যদি সহজলভ্য না হয় তাহলে পাওয়ার ব্যাংকের বিকল্প নেই! কিন্তু কেমন পাওয়ার ব্যাংক কিনবেন? আজ বিষয়টি জেনে নিন।
ব্যাপক চাহিদার কারণে বাজারে বর্তমানে নানা ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে কোনটি সেরা? আপনি তা বুঝবেনই বা কীভাবে? তাই পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখাটা জরুরি।
ব্যাটারির ক্যাপাসিটি
আপনার ব্যবহৃত স্মার্টফোনের ব্যাটারি যদি হয় ৩ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার হয় তবে পাওয়ার ব্যাংকের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি ৬ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার হলে আপনি সবচেয়ে ভালো সার্ভিস পাবেন। অর্থাৎ স্মার্টফোনের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ ব্যাটারি থাকতে হবে পাওয়ার ব্যাংকটিতে। সেইসঙ্গে স্মার্টফোনের মতোই যেনো পাওয়ার ব্যাংকের ব্যাটারি ক্যাপাসিটি মিলিঅ্যাম্প আওয়ারস তালিকাভুক্তও থাকে কেনার সময় সেই বিষয়টিতেও খেয়াল রাখতে হবে অবশ্যই।
চার্জিং পোর্ট দেখে নিন
আপনার পাওয়ার ব্যাংকে যতো চার্জিং পোর্ট থাকবে আপনি একসঙ্গে ততোগুলো ডিভাইস চার্জ দিতে পারবেন। কেমন হবে যদি একটি পাওয়ার ব্যাংক দিয়ে আপনি একই সঙ্গে স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ট্যাবলেট, ক্যামেরা চার্জ দিতে পারেন? এমন সুবিধা পেতে চাইলে পাওয়ার ব্যাংকে কতোগুলো চার্জিং পোর্ট রয়েছে তা দেখে তারপর আপনি কিনবেন সেটি।
বিল্ড কোয়ালিটি দেখে নিন
মূলত একটি পাওয়ার ব্যাংকের কোয়ালিটি নির্ভর করে তার পারফরম্যান্সের উপরে। কতোটা দ্রুত একটি ডিভাইস চার্জ হচ্ছে- সেটিই হলো একটি ভালো পাওয়ার ব্যাংকের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কম দামের অধিক মিলিঅ্যাম্পিয়ারের পাওয়ার ব্যাংক কেনার পর যদি দেখেন যে, ফোন ঠিকমত চার্জই হচ্ছে না! এমন পাওয়ার ব্যাংক কিন্তু আপনার প্রিয় ফোনটাও নষ্ট করে দিতে পারে যে কোনো সময়।
আউটপুট ভোল্টেজ দেখে নিন
একটি পাওয়ার ব্যাংক কেনার পূর্বে অবশ্যই নিশ্চিত হোন যেনো তার আউটপুট ভোল্টেজ আপনার ডিভাইসটিতে ম্যাচ করে। যদি ডিভাইসের চেয়ে পাওয়ার ব্যাংকের আউটপুট ভোল্টেজ কম হয়, তাহলে সেটি মোটেও কাজ করবে না।
ভালো ব্র্যান্ড কিনুন
আপনি স্মার্টফোন কেনার সময় যেমন ভালো ব্র্যান্ড দেখেন ঠিক তেমনি পাওয়ার ব্যাংকও ভালো ব্র্যান্ডের হওয়া চাই। আপনার গ্যাজেট যদি দামি হয় তাহলে তা চার্জ করার পাওয়ার ব্যাংকটিও সমান দামি হওয়ায় বাঞ্ছনীয়। এমন না হলে চার্জ করার পরিবর্তে আপনার গ্যাজেটও খারাপ হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়।
ক্যাবল কোয়ালিটি দেখুন
একটি উন্নত মানের চার্জার শুধু যে আপনার ডিভাইস দ্রুত চার্জ করতে পারে এমন নয়, ডিভাইসকে পাওয়া সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা থেকেও আপনাকে রক্ষা করতে পারে। ওভারহিটিং থেকেও সুরক্ষিত রাখতে পারে এটি। তাই পাওয়ার ব্যাংকের ক্যাবল যেনো ভালো মানের হয় সেটি অবশ্যই আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে।
লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি দেখে নিন
যে পাওয়ার ব্যাংক আপনি কিনছেন সেটি যদি নিম্নমানের পাওয়ার সেল থাকে তাহলে তা ওভারচার্জ করে ডিভাইসকে বিস্ফোরণের দিকেও নিয়ে যেতে পারে। তাই পাওয়ার ব্যাংক সব সময়ই এমন হওয়া উচিত, যাতে করে উচ্চমানের লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি থাকে। বাজারে আবার এমন কিছু পাওয়ার ব্যাংকও রয়েছে, যেগুলোতে শর্ট সার্কিট এড়ানোর জন্য বিল্ট-ইন প্রোটেকশন থাকে- সেগুলো নিতে পারেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকার চেষ্টা করি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের কাপড়ের মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।