দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পাওয়ার ব্যাংক। কোথাও বের হলে তখন ফোনে চার্জ না থাকলে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। আর তখন প্রয়োজন পড়ে পাওয়ার ব্যাংক। কিন্তু এটি কেনার সময় আপনাকে বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।
আপনার ফোনটা অনেক বেশি জরুরি। আরও বেশি জরুরি ফোনটার চার্জ থাকা। আর যদি ফোনে চার্জ না থাকে তাহলে কি করবেন? এই সময় আপনার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে পাওয়ার ব্যাংক। আর এই ত্রাতা হয়ে থাকা পাওয়ার ব্যাংকেই যদি ঝামেলা থাকে তাহলে সমস্যার শেষ থাকবে না!
বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী নকল এবং নিম্নমানের পাওয়ার ব্যাংক বিক্রি করে ক্রেতাদের প্রতারিত করছে। সেজন্য একটি ভালো মানের কার্যকারি পাওয়ার ব্যাংক কেনার পূর্বে যে বিষয়গুলো ক্রেতা হিসেবে আপনার জানা রাখা দরকার। আজ আমরা সেই বিষয়টি নিয়ে কিছু পরামর্শ দেবো।
# যে মডেলেরই পাওয়ার ব্যাংক কিনুন না কেনো, তাতে একসঙ্গে অন্তত দু’টি বা তার বেশি স্মার্টফোন চার্জ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে কি না দেখে নিন। সেই সঙ্গে এটাও দেখা জরুরি যে, পাওয়ার ব্যাংকটিতে ব্যাটারির ‘স্টেটাস ইন্ডিকেটর’ রয়েছে কি না। এই ধরনের ইন্ডিকেটর থাকলে, পকেটের পাওয়ার ব্যাংক ব্যাটারির চার্জ কতোটা রয়েছে, সেটি সহজে দেখে নিতে পারবেন।
# কিছু বিশেষ কোম্পানির পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে, যেগুলি আকারে বেশ বড় হয়ে থাকে। আকার বড় বলেই, আপনি বেশি পাওয়ার ব্যাকআপ পাবেন- এমনটা ভাবলে হবে না। বরং পাওয়ার ব্যাকআপের বিষয়টা পুরোপুরি নির্ভর করে ভিতরে থাকা ব্যাটারির গুণগত মানের উপর।
# পাওয়ার ব্যাংক কিনুন প্রয়োজন মতো। সারা দিনে একটি না একাধিক স্মার্টফোন চার্জ করবেন ও কতোবার চার্জ করবেন- সেই অনুসারে পাওয়ার ব্যাংক পছন্দ করতে হবে।প্রয়োজনে বেশি পাওয়ার ক্যাপাসিটির ব্যাংক কেনা যেতেই পারে, তবে সেটিকে ফুল চার্জ দিতে সময় লাগবে। ক্যাপাসিটি বেশি হলে বেড়াতে যাওয়ার সময় কাজে লাগে বেশি।
# স্থানীয় কোনও কোম্পানির বা কম দামের প্রলোভনে পাওয়ার ব্যাংক না কেনাই ভালো। চেষ্টা করুন, কোনও নামী ব্র্যান্ডের পাওয়ার ব্যাংক কেনার জন্য। আপনি যে পাওয়ার ব্যাংকটি কিনছেন, সেটিতে লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি রয়েছে কি না সেটি ভালো করে দেখে নিন।
# ওয়ারেন্টি আছে কি না পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে সেটি দেখে নিন। বাজারে নকল পাওয়ার ব্যাংকও পাওয়া যায়। ই-কমার্স সাইট হতে পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে সতর্ক হতে হবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয়
# সব সময় ঘরে থাকি।
# জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হলে নিয়মগুলো মানি, মাস্ক ব্যবহার করি।
# তিন লেয়ারের সার্জিক্যাল মাস্ক ইচ্ছে করলে ধুয়েও ব্যবহার করতে পারি।
# বাইরে থেকে ঘরে ফেরার পর পোশাক ধুয়ে ফেলি। কিংবা না ঝেড়ে ঝুলিয়ে রাখি অন্তত চার ঘণ্টা।
# বাইরে থেকে এসেই আগে ভালো করে (অন্তত ২০ সেকেণ্ড ধরে) হাত সাবান বা লিকুইড দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
# প্লাস্টিকের তৈরি পিপিই বা চোখ মুখ, মাথা একবার ব্যবহারের পর অবশ্যই ডিটারজেন্ট দিয়ে ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
# কাপড়ের তৈরি পিপিই বা বর্ণিত নিয়মে পরিষ্কার করে পরি।
# চুল সম্পূর্ণ ঢাকে এমন মাথার ক্যাপ ব্যবহার করি।
# হাঁচি কাশি যাদের রয়েছে সরকার হতে প্রচারিত সব নিয়ম মেনে চলি। এছাড়াও খাওয়ার জিনিস, তালা চাবি, সুইচ ধরা, মাউস, রিমোট কন্ট্রোল, মোবাই, ঘড়ি, কম্পিউটার ডেক্স, টিভি ইত্যাদি ধরা ও বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে নির্দেশিত মতে হাত ধুয়ে নিন। যাদের হাত শুকনো থাকে তারা হাত ধোয়ার পর Moisture ব্যবহার করি। সাবান বা হ্যান্ড লিকুইড ব্যবহার করা যেতে পারে। কেনোনা শুকনো হাতের Crackle (ফাটা অংশ) এর ফাঁকে এই ভাইরাসটি থেকে যেতে পারে। অতি ক্ষারযুক্ত সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার থেকে বিরত থাকাই ভালো।